পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নে ৮ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর মুখে ও গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধর্ষণ করেছে স্থানীয় বখাটে এক যুবক। শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার দক্ষিণ পোরগোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মামলা শেষে রাতে ধর্ষিতাকে সদর হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ অভিযুক্ত আসামি আমজেদ সরদারের ছেলে সাইদুল সরদারকে (২৮) গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। ধর্ষিতা স্থানীয় কদমতলা গালর্স হাই স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
ধর্ষিতার মা জানান, স্কুলের মধ্যাহ্ন বিরতির সময় তার মেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে গিয়ে পুকুরে হাত-পা ধৌত করছিল। এসময় হঠাৎ করেই প্রতিবেশী বখাটে সাইদুল তার মুখে ও গলায় গামছা পেঁচিয়ে পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায়। এসময় মেয়েটি নরপশুর হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য ছটফট করলে তার ওপর চালায় অমানুষিক নির্যাতন। একপর্যায় সে ঝিমিয়ে পরলে তার ওপর চলে নরপশুর নগ্ন থাবা। বৃষ্টি কমলে বাড়ির লোকজন পুকুর ঘাটে এসে মেয়েটিকে পড়ে থাকতে দেখে।
ধর্ষিতার বাবা হুমায়ূন কবির শেখ জানান, আমার বোন ফিরোজা বেগম আমাদের বাড়িতে থাকে। সে পুকুর পাড়ে গেলে মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আমাদের ডাক দেয়। এরপর মেয়েকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করি।
পিরোজপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শিশির রঞ্জন অধিকারী জানান, রোববার কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা হবে।
কদমতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হানিফ খান, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সালমা রহমান হ্যাপি ও অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম সাহা হাসপাতালে এসে ধর্ষিতার খোঁজ খবর নেন এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, আসামি গ্রেফতারে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।