সম্প্রতি নওয়াজ শরিফের লন্ডন যাত্রা ঘিরে নির্বাসনের বিষয়টি দানা পাকছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন, সফরের মোড়কে দেশত্যাগী হয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ।
এর পিছনে পাক সামরিক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদত আছে। বহু কোটি টাকার পানামা পেপারস তথ্য ফাঁস হওয়ার পর পারিবারিক দুর্নীতির বোঝা মাথায় নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হয়েছেন শরিফ।
পাক সংবাদ মাধ্যমের খবর, নওয়াজ শরিফ লন্ডন থেকে সহসা দেশে ফিরছেন না। তবে শরিফের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, দেশের মানুষের ভালোবাসা থেকে তিনি দূরে থাকতে পারবেন না। এদিকে পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন) জানিয়েছে, ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রী কুলসুম নওয়াজকে দেখতেই লন্ডন গেছেন নওয়াজ শরিফ। সেখানে তিনি দশ দিন থাকবেন। স্ত্রীর অসুস্থতার কথা বিবেচনা করেই নওয়াজ শরিফের লন্ডন থাকার সময় সীমা নির্ভর করবে। যদিও বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) জানিয়েছে, ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টোবিলিটি ব্যুরোর বিভিন্ন মামলায় জড়িত শরিফ এখনই দেশে ফিরছেন না।
এর আগেও পাকিস্তান ত্যাগ করেছিলেন নওয়াজ শরিফ। ২০০৭ সালে নওয়াজকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসেন পারভেজ মোশাররফ। তারপরেই সপরিবারে দেশ ছেড়েছিলেন নওয়াজ শরিফ। কখনও সৌদি আরব, কখনও ইংল্যান্ডেই থাকতেন। দেশ ফিরতে চেয়ে চেষ্টা করলেও তাঁকে আটকে দিয়েছিল তৎকালীন সেনা সরকার।
পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছেন নওয়াজ শরিফ। এরপর পদত্যাগ করেন। পাক জাতীয় সংসদে তাঁর আসনটি শূন্য হয়। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সেই শূন্য আসনে নির্বাচনের কথা। ওই আসনে পিএমএল(এন)-এর হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুলসুম নওয়াজ। অন্যদিকে পাকিস্তানের পরবর্তী পূর্ণ সময়ের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে আসছেন নওয়াজ ভ্রাতা শাহবাজ শরিফ৷ বর্তমানে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী আসিফ খাকান আব্বাসী। খবর কলকাতা টুয়েন্টিফোর।