একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সমানে রেখে ভোটার তালিকা হালনাগাদে ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৩১ জনের তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মৃত ১৩ লাখ ৩৩ হাজার দুইজনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। আর ভোটার স্থানান্তরের জন্য আবেদন করেছেন ৬০ হাজার ৮৭৬ জন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
সচিব বলেন, হালনাগাদে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫ লাখ। সে হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ ভাগ পূরণ হয়েছে। হালনাগাদে যে পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট, উই আর হ্যাপি।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৪ লাখের তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছিল ইসি। বুধবার শেষদিন নতুন ভোটার হতে আগ্রহী অনেকেই ফরম পূরণ করেছেন। ফলে একদিনেই সংখ্যা এত বেড়ে গেছে বলে দাবি করছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
সচিব বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় আর বাড়ানো হবে না। তবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে সব সময়। যে কেউ উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে ভোটার হতে পারবেন।
তিনি বলেন, যদি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় কেউ বাড়ি বাড়ি না গিয়েই ভোটার তালিকা হালনাগাদ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ইসি ব্যবস্থা নেবে।
ইসি জানিয়েছে, সংগ্রহকৃত এসব তথ্য নিবন্ধন কেন্দ্রে সংযোজনে ২০ আগস্ট থেকে কম্পিউটারে ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু হবে। তিন ধাপে হবে এ কাজ। প্রথম ধাপে ১৮৩টি উপজেলায় ২২ দিনে, দ্বিতীয় ধাপে ২১৬টি উপজেলায় ২৮ দিনে, তৃতীয় ধাপে ১১৮টি উপজেলায় ২১ দিনে, মোট ৫১৭টি উপজেলায় ডাটা এন্ট্রির কাজ সম্পন্ন হবে। শেষ হবে ৫ নভেম্বর।
আর ২৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত উপজেলা, থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে ভোটার এলাকা স্থানান্তরের আবেদন গ্রহণ, মৃত ভোটারের নাম কর্তন করা যাবে। এরপরে ২ জানুয়ারি হালনাগাদকৃত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি।
উল্লেখ্য, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার কার্যক্রম গত ২৫ জুলাই ময়মনসিংহে উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য নেয়ার এই কার্যক্রম শেষ হয় বুধবার (৯ আগস্ট)। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হচ্ছে তাদের তথ্য নিয়েছে ইসি।