দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হলো কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায়। সকাল ৯টায় জামাত শুরু হয়। জামাতে ইমামতি করেন শহরের মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান খান। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এ দিকে জামাতকে ঘিরে নেয়া হয় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এবার শোলাকিয়া ছিল ১৯১তম ঈদুল আজহার জামাত। শোলাকিয়ার রীতি অনুযায়ী নামাজ শুরুর ১০ মিনিট ৫ মিনিট ও সব শেষ ৫ মিনিট আগে বন্দুকের গুলি ছুঁড়ে জামাতে চূড়ান্ত প্রস্তুতি জানান দেয়া হয়।
এর আগে সকাল থেকে মুসুল্লীরা আসতে থাকেন ঈদগাহের দিকে। প্রতি বছর ঈদের জামাতে এখানে লাখো মানুষের ঢল নামে। বড় জামাতে নামাজ আদায় করলে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়, তাই এখানে প্রতি বছর ঈদের জামাতে দেশ-বিদেশের মুসুল্লীদের ঢল নামে।
ঈদকে ঘিরে নেয়া হয় চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুরো এলাকাকে ৮টি সেক্টরে ভাগ করে দায়িত্ব পালন করে র্যাব-পুলিশ, এপিবিএনসহ ২ প্লাটুন বিজিবি। বসানো হয় ২৪টি চেকপোস্ট। মাঠের ভেতরে-বাইরে বসানো হয় ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। মেটাল ডিটেক্টরে দেহ তল্লাসীর পর নির্ধারিত গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয় মুসুল্লীদের। মাঠের আশপাশের নিরাপত্তায় আকাশে নজরদারি করে শক্তিশালী ক্যামেরাযুক্ত দুইটি ড্রোন।
পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম জানান, গত বছর এ মাঠে প্রায় ৫ লাখ মুসুল্লীর সমাগম হয়েছিল। এবার কোরবানির কারণে মুসুল্লী কম হয়েছে। তবে নিরাপত্তার কোনো কমতি ছিল না। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে শান্তিপূর্ণভাবে জামাত শেষ হয়েছে।
শোলাকিয়া মাঠের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের নামাজ শেষ হয়েছে। তিনি জানান, কোনো নিরাপত্তা হুমকি না থাকলেও সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়াও দূরের মুসুল্লীদের জন্য ভৈরব ও ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জে দু’টি বিশেষ ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করে প্রশাসন।