বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সরকার পতনের আন্দোলনে মুখে সোমবার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে বিচ্ছিন্ন হিন্দু ধর্মালম্বীদের বসতবাড়ি এবং উপসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
মঙ্গলবার দুপুরে সঙ্গে আলাপে সাম্প্রতিক বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন সারজিস। নিজের বক্তব্যে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক সম্প্রীতি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন এই ছাত্রনেতা।
সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা দেখছি যে, আমাদের সংখ্যালঘু ভাইবোন যারা আছে তাদের বাড়িঘর, উপসনালয় এবং বিশেষ করে অন্য মতাদর্শের যারা রয়েছে তাদের ঘরবাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই জায়গায় আমরা একটা কথা পরিস্কারভাবে বলতে চাই, ছাত্রসমাজ যে নামছে এটা কোনো নির্যাতকের বিরুদ্ধে নয়। এই আন্দোলন হচ্ছে নির্যাতন যে প্রথাটা রয়েছে, সিস্টেমটা রয়েছে সেটার বিরুদ্ধে।
ঢাবির এই ছাত্রনেতা আরো বলেন, ‘একজন নির্যাতক গিয়েছে, আরেকজন নির্যাতক বসবে সেটা আমরা কখনো হতে দিবো না। এটা আমরা কখনো সমর্থনও করি না। সে জায়গা থেকে কেউ যদি এই অপচেষ্টাগুলো করে সবগুলো রিপোর্টই আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারছি, তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, সে ব্যবস্থা নেবো আমরা’।
এ দিকে মঙ্গলবার ভোররাতে এক ভিডিওতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিকেল ৩টার মধ্যে সংসদ বিলুপ্তি করার দাবিও দিয়েছেন তারা।