ভোটার আইডি কার্ড জালিয়াতি করে এক নারীর ৬ কোটি টাকা মূল্যের জমি ৭৪ লাখ টাকায় নামজারি করে নেয়ার ঘটনায় সিলেটের সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক ও নগরের নাইওরপুলের সিলভিউ হোটেল মালিকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিলেটের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এই মামলা দায়ের করেন বালাগঞ্জ থানার সিরাজপুর গ্রামের আবদুল বারী।
মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতে একই অভিযোগে দায়ের করা পূর্বের সিআর মামলাটি প্রত্যাহার করেন। একই সঙ্গে বর্তমান দুদক আইনের মামলাটি তদন্ত করে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকার সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক গোলাম মর্তুজা মজুমদার।
মামলার আসামিরা হলেন, ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীরের নিজ কুরুয়া গ্রামের মাসুক মিয়া, আবু উল রশীদ, আবদুল কাদির, সাবেক ইউএনও মোহাম্মদ শওকত আলী, কুরুয়া ভূমি কর্মকর্তা রতিশ দাশ, ওসমানীনগর উপজেলা ভূমি অফিসের সাবেক কানুনগো প্রমোদ কুমার ধর, নামজারি সহকারী অরুণ জৌতি পুরকায়স্থ, অফিস পিয়ন আবদুল হালিম, দয়ামীর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন নুনু, ইউপি সদস্য আনহার আলী, রাঘবপুর গ্রামের মাসুক মিয়া, লাফনাউটের জুলফিকার আলী এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পরিদর্শক মোহন লাল তালুকদার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বাদী আবদুল বারীর খালা সুলতানুন খাতুন ও খালু আবদুল মান্নান নিজ করুয়া গ্রামে নিঃসন্তান অবস্থায় মারা যান। এই দম্পত্তির মৃত্যুর পর তাদের আশ্রিত কাজের লোক মাসুক আলী নিজেকে নিঃসন্তান দম্পত্তির ছেলে দাবি করেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে তিনি ভোটার তালিকা ও ভোটার আইডি কার্ডে নাম তোলে একটি চক্রের যোগসাজশে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি হস্তগত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাবেক ইউএনও শওকত আলী বর্তমানে অর্থমন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। মামলার অপর আসামি সিলভিউ হোটেলের মালিকও দেশের বাইরে আছেন।
পিবিআই কর্মকর্তা মোহনলাল তালুকদার সিলেট পিবিআই অফিসে আছেন। তিনি বলেন, তিনি মামলার তদন্তে কোনো ঘুষ নেননি। তদন্তে যা পেয়েছেন, লিখে দিয়েছেন। আদালতে অজ্ঞতার বিষয়ে তলব করা হয়েছিল।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, মামলা তদন্তে করে প্রতিবেদন দিতে দুদকের ঢাকা অফিসকে আদেশ করেছেন আদালত।