প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির সাফল্যের দোরগোড়ায় অক্সফোর্ড। এবার সেই ভ্যাকসিন পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশও। এজন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এসআইই’র সঙ্গে বিনিয়োগ চুক্তি করেছে দেশি প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২১ সালের জানুয়ারিতেই এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। এছাড়া দেশে ট্রায়ালের অনুমতি পেয়েছে চীনের সিনোব্যাক কোম্পানির তৈরি ভ্যাকসিন।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড জানায়, বিনিয়োগ চুক্তি করায়, ‘এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটর’ হিসেবে ভ্যাকসিন পেতে অগ্রাধিকার পাবে তারা।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা রাব্বুর রেজা বলেন, ‘আমরা ওয়ার্ল্ডের ফার্স্ট কোম্পানি রেমডেসিভির লঞ্জ করেছি। সেই সঙ্গে প্রতিটা সরকারি হাসপাতালে ফ্রি এই ওষুধটি দিয়েছি। এরপর আমরা চেষ্টা করছি, কীভাবে সরকারকে আরো সাহায্য করা যায়। এছাড়াও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এসআইই’র সাথে সরাসরি চুক্তি করি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করা ২০২১ সালের শুরুতে ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করছেন বেক্সিমকো। এছাড়াও ওষুধের দামও সাধারণের নাগালে রাখতে কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে রাব্বুর রেজা আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে, যত কম মূল্যে এটি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়।
বিষয়টিকে সাধুবাদ জানিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আনোয়ারুল ইকবাল মিতু বলেন, যেটাই আসবে সেটাই ভালো। যেহেতু আমরা ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম নন। কিছু ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও আমাদেরকে বিনামূল্যে দেবে, এটা নিয়ম।
সারাবিশ্বে অন্তত ১৭০টি করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে। এর মধ্যে চতুর্থ পর্যায়ে পরীক্ষা চলেছে ৩০টির। এছাড়া এডভান্স স্টেইজে আছে ৭টি।