প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গুয়াম দ্বীপে হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের অনুমোদন পেলেই অাগস্টের মাঝামাঝি সময়ে গুয়ামে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে দেশটি।
তবে গুয়ামের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে সেখানে হামলা করা হলে তা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে দ্বীপটিতে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে উত্তর কোরিয়ার হামলার পরিকল্পনার জবাবে বৃহস্পতিবার গুয়ামের গভর্নর ইডি কালভো এ কথা বলেন।
কিন্তু প্রশান্ত মহাসাগরের একটি ছোট দ্বীপে কেন হামলার হুমকি দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া? অাসুন জেনে নেয়া যাক গুয়াম সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য।
উত্তর কোরিয়া থেকে তিন হাজার চারশ কিলোমিটার দূরে গুয়াম দ্বীপটি ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মূল ঘাঁটি। হাওয়াই আর এশিয়ার মাঝে এটাই একমাত্র ভূমি, যেখানে বিমানবন্দর রয়েছে।
এই স্থান থেকে একই সঙ্গে কোরিয়া আর তাইওয়ানের আশেপাশের এলাকা কাভার করা সম্ভব। দ্বীপটির বেশিরভাগ এলাকা জুড়েই রয়েছে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি।
দ্বীপটির অর্থনীতির মূল উৎস পর্যটন আর মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। সেখানে প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার মানুষ বসবাস করে, যাদের মধ্যে আদিবাসী চামোরো রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে জাপানি আর চীনা লোকজন। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অন্য দ্বীপের বাসিন্দারাও থাকে সেখানে।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেও, গুয়ামের বাসিন্দারা মার্কিন নির্বাচনে ভোট দিতে পারে না। দ্বীপটিতে সম্পদ খুবই কম আছে; সবকিছুর জন্য তাদের আমদানির উপর নির্ভর করতে হয়।
১৮৯৮ সালে স্পেন-মার্কিন যুদ্ধে দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের দখলে যায়। তারপর থেকে এটি যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে।
সেখানকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, যদি উত্তর কোরিয়া দ্বীপটিতে হামলা করে বসে তাহলে তাদের দৃঢ় বিশ্বাস মার্কিন সেনাবাহিনী রক্ষা করবে। এখন দেখার বিষয় দ্বীপটিতে হামলা চালানোর জন্য কিম অনুমোদন দেন কি না এবং হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী কী করে।
সূত্র : এবিসি নিউজ