ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার ( ০১ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে তিনি এ কথা জানান।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সততার কমতি নেই তবে, অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে উল্লেখ করে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু নিরাময়ে কলকাতার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে সেখানকার ডেপুটি মেয়র কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা শিগগিরই বাংলাদেশে আসবেন। এসময় যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর নতুন ওষুধ আনা হবে।
তিনি বলেন, কলকাতায় ডেঙ্গু নিয়ে যিনি কাজ করেছেন, তার নাম অনিক ঘোষ। আমি তাকে ফোন করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, আমাকে তাড়াতাড়ি আমন্ত্রণপত্র পাঠান। আমি আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়ে দিয়েছি। আগামী রোববার (০৪ আগস্ট) অনিক ঘোষ বাংলাদেশে আসবেন বলে কথা দিয়েছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে কোনও বাণিজ্য করবেন না। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে যে মূল্যতালিকা দেওয়া হয়েছে, সে অনুযায়ী ফি নেবেন। সব রোগীকে মশারির ভেতর রাখবেন। যে এলাকায় ডেঙ্গু হয়েছে অথবা ডেঙ্গু রোগী থাকেন, খবর দিলে আমরা সেখানে স্প্রে করে দেবো।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমার সততার কমতি নেই। কিন্তু, অভিজ্ঞতার কমতি আছে। আমি মনে করি, ডেঙ্গু রোগের জন্য অবশ্যই ৩৬৫ দিনই গবেষণা করতে হবে। এটা সিজনাল না, যেকোনো সময় আসতে পারে। তাই, এটি নিয়ে জাতীয়ভাবে একটি গবেষণা কেন্দ্র তৈরি করা দরকার।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। শুধু মশা মারলে হবে না, পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এটি একটি টেকনিক্যাল ব্যাপার। আমাদের এখন তিনটি কাজ আছে। এগুলো হলো- স্বল্প সময়ের কাজ, মধ্যম সময়ের কাজ ও দীর্ঘ সময়ের কাজ। খারাপ ওষুধ নিয়ে যে প্রশ্ন এসেছে, সেটা নিয়ে বলতে চাই, আমার সিটি করপোরেশনে যে চালানটি এসেছিল, পরীক্ষার পরে দেখেছি, ওষুধগুলো কার্যকর নয়। এরপর ওষুধের ওই কোম্পানিকে আমরা কালোতালিকাভুক্ত করেছি। ওই চালানটিও বাতিল করা হয়েছে। খারাপ ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না। পরবর্তী চালানের ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।
মেয়র আতিকুল আরও বলেন, প্রত্যেক রোগীকে মশারির ভেতর রাখতে হবে। ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ১৪ হাজার মশারি বিভিন্ন হাসপাতালে দিয়েছি। আমাদের কাছে এখনো ১৬ হাজার মশারি রয়েছে। সেগুলোও বিতরণ করা হবে।