তানজিম হোসাইন রাকিব:
শোকাবহ আগষ্টের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এই প্রথম বরিশালের ইতিহাসে বৃহত স্মরণ সভার আয়োজন করেছে বরিশাল জেলা প্রশাসন। আজ সকাল ১১টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে দোয়া মোনাজাত, স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসক এস.এম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে স্মৃতিচারণমূলক সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) ও শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাতের পুত্র আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আঃ রব সেরনিয়াবাতের গুলিবিদ্ধ হওয়া পুত্রবধূ ও বরিশাল জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহান আরা বেগম।
গেষ্ট অব অনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল (অব:) জাহিদ ফারুক শামীম, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রনালয় ও সংসদ সদস্য, বরিশাল ৫( বরিশাল সদর )।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ,জনাব পংকজ নাথ, মাননীয় সংসদ সদস্য (বরিশাল ৪)। জনাব গোলাম কিবরিয়া টিপু, মাননীয় সংসদ সদস্য, (বরিশাল ৩) ।বেগম নাসরিন জাহান রত্না,সংসদ সদস্য (বরিশাল ৬)। এড: সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা, সংসদ সদস্য মহিলা সংরক্ষিত আসন। জনাব মুহম্মদ ইয়াসিন চৌদুরী, বিভাগীয় কমিশনার, বরিশাল বিভাগ বরিশাল।জনাব মো: শফিকুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম, (বার),উপ মহা পুলিশ পরিদর্শক বরিশাল রেন্জ বরিশাল। জনাব মো: শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম (বার), পুলিশ কমিশনার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ, বরিশাল।
উক্ত দোয়া ও স্মৃতিচারনমূলক সভায় মুখ্য আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন , জনাব সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, মাননীয় মেয়র,বরিশাল সিটি কর্পোরেশন।
এসময় স্মৃতিচারণমূলক সভায় প্রথান আলোচকের বক্তব্যে শাহান আরা বেগম নিজে কাঁদলেন এবং উপস্থিত সবাইকে কাঁদালেন। তিনি বললেন সে দিনের সেই স্মৃতি আজও আমাকে কাঁদায়। এক মুহুর্তের জন্য সে দিনের সেই নির্মম হত্যা কাণ্ডের কথা ভুলতে পারিনা।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের সেই নির্মম হত্যাকাণ্ড চালানোর সময় আমার গায়ে ৩টা গুলি লাগে যা এখনও আমি শরীরে বহন করে চলছি। হত্যাকারীদের গুলিতে আমর শিশু সন্তান সুকান্ত বাবু মারা গেলেও আমার কোলে থাকা আজকের বরিশালি সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বেঁচে যায়। আমার গায়ে গুলি লাগায় আমি রক্তাক্ত হয়ে পড়ে থাকার কারনে হত্যাকারীরা বুজতে পেরেছিলো আমি মারা গেছি। কিন্তু আপনাদের দোয়ায় আমি আজও বেঁচে আছি। বেচে আছে আমার সন্তান সাদিক আবদুল্লাহ।
এসব কথা বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। দীর্ঘ সময় বক্তব্য থামিয়ে কান্না শেষ করে আবার বক্তব্য শুরু করেন। আবার কাঁদেন। কান্না যেন থামাতে পারছিলেন না তিনি। তার কান্না দেখে উপস্থিত সকলের চোঁখ থেকে পানি পড়তে শুরু করে। উপস্থিত কেউই চোঁখের পানি ধরে রাথতে পারলেন না। সবাই যেন স্তব্ধ হয়ে গেছিলেন। কোন সাড়া শব্দ ছিলোনা। সবাই সুনছিলেন তার কথা। এমন নির্মমতার কথা যেন কেউ এর আগে কখনও শোনেন নি।