ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন সদ্য রানিংমেট করা কমলা হ্যারিসকে নিয়ে প্রথমবারের মতো নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। বুধবারের নির্বাচনী প্রচারণায় তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একহাত নিয়েছেন। এদিন কমলা বলেছেন, ‘যোগ্য ও যথাযথ নেতৃত্বের অভাবে আমেরিকা কাঁদছে’।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম এশিয়ান-আমেরিকান কিংবা কৃষ্ণাঙ্গ রাজনীতিবিদ হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের টিকিট পেয়েছেন ৫৫ বছর বয়সী এই নারী। প্রায় এক মাসের বিচার-বিশ্লেষণ শেষে মঙ্গলবার কমলাকে ‘রানিংমেট’ হিসেবে ঘোষণা করেন বাইডেন।
বুধবারই বাইডেনের সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় নামেন কমলা। সেখানে করোনা মহামারি মোকাবিলায় ট্রাম্পের নেতৃত্বের অযোগ্যতার প্রশ্ন তোলেন তিনি। কমলা বলেন, ভাইরাসটি প্রায় প্রতিটি দেশেই প্রভাব ফেলেছে। তবে যে কোনও উন্নত দেশের চেয়ে আমেরিকার যে বাজে পরিস্থিতি হয়েছে তার কারণ রয়েছে।
‘এটি ট্রাম্পের ব্যর্থতা, শুরুতে তিনি এটিকে (করোনা ভাইরাস) গুরুত্ব দেননি। করোনা পরীক্ষা, সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ ও মাস্ক পরা নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেন। তিনি এমন উদ্ভট যে, তার বিশ্বাস তিনি বিশেষজ্ঞদের থেকেও ভাল জানেন’, বলেন হ্যারিস।
ভারতীয়-আফ্রিকান বংশোদ্ভূত এ রাজনীতিবিদ বলেন, শতাব্দীর সবচেয়ে জনস্বাস্থ্য সংকটে রয়েছে আমেরিকা। মহামারি নিয়ে প্রেসিডেন্টের (ডোনাল্ড ট্রাম্প) অব্যবস্থাপনা বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে ডুবিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘নতুন নেতৃত্বের জন্য কান্না করছে আমেরিকা। যদিও আমাদের একজন প্রেসিডেন্ট আছে, কিন্তু তিনি নিজেকে নিয়েই ভাবেন বেশি, মানুষদের নিয়ে নয়-যারা তাকে নির্বাচিত করেছিল।’
বাইডেন সম্পর্কে কমলা বলেন, ‘তিনি (বাইডেন) এমন একজন, যিনি কখনো বলেন না যে, কেন এমনটা আমার সঙ্গে হচ্ছে। বরং তিনি জিজ্ঞাসা করেন, আমি আরও ভাল করতে কী করতে পারি। আরেকজনের প্রতি তার এমন সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধ-যার কারণে তার রানিংমেট হতে পেরে আমি গর্বিত।’
এর আগে ৫৫ বছর বয়সী কমলাকে রানিংমেট নির্বাচিত করে তাকে ‘অকুতোভয় যোদ্ধা’ আখ্যা দেন বাইডেন। এক টুইটে এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী লিখেছেন, ‘আমার রানিংমেট হিসেবে অকুতোভয় যোদ্ধা কমলা হ্যারিসকে নিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিতে পেরে আমি সম্মানিত।’ খবর ফার্স্টপোস্ট।