চালের বাজার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম বেড়েছে ৪ থেকে ৬ টাকা। আর মিনিকেটে বাড়তি গুণতে হচ্ছে ৩ টাকা। আড়তদারদের দাবি, বন্যার কারণে চালের দর বাড়তির দিকে। যদিও খুচরা ব্যবসায়ীরা মূল্যবৃদ্ধির দায় চাপাচ্ছেন আড়তদারদের ওপর।
এদিকে, চালের দরবৃদ্ধির পেছনে মিলার ও মৌসুমী মজুদদারদের কারসাজি থাকতে পারে বলে মত কৃষি অর্থনীতিবিদদের।
চালের আড়ৎখ্যাত রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেট। অন্য বাজারের চেয়ে সব ধরনের চালের জোগান ও কেনা-বেচা বেশি হয় এখানে। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ টাকার মিনিকেট চাল ৫৩ টাকা। আর নিম্ন আয়ের মানুষের ৩৩ টাকার মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৯ থেকে ৪০ টাকায়।
এদিকে, খুচরা পর্যায়ে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকার কেজি দরে। আর মোটা চালের কেজি ৪৮ টাকায়।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে মিনিকেটের ভাল চাল বিক্রি করছি ৬০ টাকায়। আর মোটা চাল ৪৫ টাকা ধরে। এছাড়া মিনিকেটের নরমাল চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়।
দাম বাড়ার পেছনে নানা অজুহাত আড়তদারদের। বন্যায় সরবরাহ কমে যাওয়ার কথা বলছেন তারা।
আড়তদাররা জানান, মালিকরা ধান ধরে রাখছে, মিলাররা যখন কিনতে যায় তখন তারা দাম বেশি চাচ্ছে। ফলে দাম বাড়ছে চালের।
অন্য এক আড়ৎদার জানান, ত্রাণে মোটা চালের চাহিদা বেশি বিধায় মিলাররা মোটা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। মিলাররা হঠাৎ করে বলছে ধানের দাম বেশি তাই চালের বস্তা প্রতি একশ’ টাকা বেশি। পর্যাপ্ত মজুদ সত্ত্বেও দাম বাড়ার পেছনে মিলারদের কারসাজি দেখছেন এই কৃষি অর্থনীতিবিদ।
কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফকির আজমল হুদা বলেন, আগস্টের শেষে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চালের মূল্য কিছুটা বেড়ে যায়। এ জন্য অনেকে সিন্ডিকেটকে দোষারোপ করেন। এটা হতে পারে, দাম বাড়ার পেছনে এটি একটি কারণ। কিন্তু এই সময়টাতে স্বল্প মেয়াদে চাতালে ধান শুকানোর সংকট থাকে তখন কিছুটা চালের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
এই পরিস্থিতিতে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি পর্যায়ে মজুদ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।