শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের পদার্থ বিভাগের এক শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষককে কলেজ থেকে বহিষ্কারের দাবি তুলেন। ঘটনার পর কলেজ অধ্যক্ষ বিষয়টি শিক্ষার্থীদের কাছে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
বুধবার শিক্ষক-ছাত্রীর অনৈতিক প্রেমের সম্পর্কের আলাপন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে শুরু হয় গুঞ্জন। পরে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে বুধবার রাতে ৩০ লাখ টাকা কাবিনে দুই সন্তানের জনক অভিযুক্ত শিক্ষক মুইদ আহাম্মেদের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিয়ে সম্পন্ন হয়।
তবে এ ঘটনায় ওই শিক্ষককে শেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে এ নিয়ে শহরে ব্যাপক গুঞ্জন উঠেছে।
কলেজ সূত্র জানায়, অভিযুক্ত শিক্ষক মুহিতের কাছে দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার সূত্রে আসা-যাওয়ার সময় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিষয়টি দৈহিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বিষয়টি বান্ধবীদের জানালে ঘটনাটি প্রকাশ হয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রী বিয়ের দাবিতে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর অধ্যক্ষ উভয় পরিবারকে বিষয়টি জানালে দুই পরিবারের সম্মতিতে গত বুধবার রাতে বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ফাউজিয়া আমিন দিনা সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।