বন্যার্তদের সহায়তায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গণত্রাণে মোট ১১ কোটি ১০ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৯ টাকা সংগ্রহ হয়েছে। নগদ অর্থ, ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত অর্থ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৭৫ লাখ ১২ হাজার ৭৯৪ টাকা ব্যয় হয়েছে।
বর্তমানে ফান্ডে ৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭৭৫ টাকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের।
বুধবার নিজের ফেসবুকে পোস্টে তিনি এ কথা জানান। এছাড়া ত্রাণ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতরা তাদের ফেসবুকে এ বিষয়ে তথ্য দেন।
টাকার হিসাব দিয়ে আবদুল কাদের জানান, গত ২২ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নগদ অর্থ, মোবাইল ব্যাংকিং এবং ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মোট সংগ্রহ ১১ কোটি ১০ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৯ টাকা। গণত্রাণ ও গণরান্না কর্মসূচি বাবদ ব্যয় হয়েছে মোট ১ কোটি ৭৫ লাখ ১২ হাজার ৭৯৪ টাকা। ৯ কোটি ৩৫ লাখ ৭৭৫ টাকা বর্তমানে ফান্ডে রয়েছে।
তিনি বলেন, এই টাকা আমাদের সমন্বয়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের দ্বারা পরিচালিত জনতা ও সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে। এই অর্থ বন্যাপরবর্তী পুনর্বাসনে ব্যবহারের পরিকল্পনা করছি আমরা।
এই অর্থ কিভাবে এবং কাদের মাধ্যমে ব্যবহৃত হলে সর্বোচ্চ মানুষের উপকার হবে সে বিষয়ে স্থানীয় এবং দেশের ছাত্র-জনতার পরামর্শ আহ্বান করেন সমন্বয়ক কাদের।
তিনি বলেন, তাদের মতামতের ভিত্তিতেই এ অর্থ ব্যবহার করা হবে।
সম্প্রতি আকস্মিক ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লা, ফেনী ও নোয়াখালীসহ কয়েকটি জেলায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ২২ আগস্ট থেকে গণত্রাণ সংগ্রহ শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এ কর্মসূচি শেষ করা হয়।