ঝালকাঠি প্রতিনিধি :
ঝালকাঠির রাজাপুরে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার জন্য দুবোন ও বোনের শিশু পুত্রের উপর সৎ ভাইসহ তাদের সহযোগীরা হামলা চালিয়ে বেধরক মারধর ও বসতঘর গুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার পর স্থানীয়রা উদ্ধার করে গুরুত্বর আহত উম্মে আসমা সুখীকে বরিশাল শেবাচিত হাসপাতালে ও ছোট বোন আহত কামরুন্নাহার তুলিকে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে রাজাপুর থানায় আহত উম্মে আসমা সুখী বাদী হয়ে দুই সৎভাই ও তাদের সহযোগী ৪/৫ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
পরে সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ প্রধান আসামী খিজির হায়াত হোসেন বাদশা (৪৫)কে গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে প্রভাবশালী আসামীরা উচ্চ মহলে তদবীরের মাধ্যমে আহত বোনদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়েরের প্রচেষ্টা চালানোর কারনে বর্তমানে তারা আতংকে দিন কাটাচ্ছে। তাছাড়া হামলা চলাকালে বাদী আহতাবস্থায় দৌড়ে রাজাপুর থানায় ডুকলেও পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করেছে বলে আহতরা জানিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজাপুরের সেটেলমেন্ট অফিস সংলগ্ন পোষ্টমার বাড়ীর মৃত আঃ করিম হাংয়ের সহায়সম্পত্তী তার প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলেরা ভোগ দখল করলেও তারা তৃতীয় স্ত্রীর ঘরের সন্তানদের সম্পত্তিতে থেকে বঞ্চিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এনিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ১২সেপ্টেম্ভর সকাল ৭টায় আসামী সৎভাই খিজির হায়াত হোসেন বাদশা, আলী হায়দার হোসেন মহারাজ ও রিয়াদুল হোসেন স¤্রাটসহ তাদের সহযোগীরা বাদী উম্মে আসমা সুখীর বাসায় হামলা চালায়। এসময় ধাড়ালো অস্ত্র, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে সৎবোন সুখী, তুলি ও সুখী বেগমের শিশু পুত্র আলআবিদ (৮) কে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে। এমন কি তাদের বসত ঘরটি ভেয়ে গুড়িয়ে মাটির সাথ মিশিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও আহতরা জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজাপুর থানার ওসি মোঃ জাহিদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এই ঘটনা একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে প্রধান আসামী বাদশাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।