খুলনা প্রতিনিধি// জান্নাতুল ফেরদৌসঃ
সংস্কারের অভাবে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া ও যশোর মহাসড়ক। সড়কটিতে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত আর খানা-খন্দের। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা আর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।
সড়ক বিভাগ বলছে, রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, দ্রতই এ সমস্যার সমাধান করা হবে। ঝিনাইদহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম জেলা। মোংলা নৌবন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের অধিকাংশ মালামাল এ জেলার সড়ক দিয়েই উত্তরবঙ্গে আনা-নেয়া করা হয়। ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া ও যশোর সড়ক দিয়ে দূর-পাল্লাসহ সকল যানবহন চলাচল করে থাকে। সড়কের বেহাল দশার কারণে দীর্ঘদিন এ রুটে চলাচলকারী মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের এ রুটের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন মেরামতের অভাবে বড় বড় গর্ত আর জমে থাকা পানি। ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া ও যশোর সড়কের আরাপপুর, ভাটই, গাড়াগঞ্জ, চড়িয়ারবিল, শেখপাড়া, বিষয়খালী, কালীগঞ্জ, বারোবাজারসহ বিভিন্ন স্থানের রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক।
যার কারণে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এসব স্থানে পড়ে নষ্ট হচ্ছে যানবাহন। ভাঙা রাস্তা দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে এই জেলার বসবাসকারী মানুষদের । সড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে খানা-খন্দে কিছু ইট বালি দিয়ে মেরামত করলেও কয়েকদিন পরে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। তাই দ্রুত এ সড়ক সংস্কার করার দাবি চালাচলকারী লাকাবাসীর।
ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে ২৪ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে কয়েকমাস আগে ৯ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করা হলেও তা আগের অবস্থানেই ফিরে এসেছে। আর ঝিনাইদহ যশোর মহা-সড়কের ৩৫ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশ স্থানেই সৃষ্টি হয়েছে খানা-খন্দের।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার জানান, ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের কাজ করোনা ও বৃষ্টির কারণে বন্ধ রয়েছে। যশোর সড়কে দরপত্র আহবান করা হয়েছে। ঠিকাদার নিয়োগ হলেই কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।