তরুণীকে গণধর্ষণ ও হত্যার পর মরদেহ গুমের ঘটনায় ছাত্রলীগের চার নেতাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে করা মামলা বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এর আগে, ১২ আগস্ট সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশ (ডিবি)।
অভিযোগপত্রে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক মো. মাহমুদ, পাথরঘাটা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহি আনান দানিয়াল ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ছোট্ট, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম রায়হান এবং পাথরঘাটা কলেজের নৈশপ্রহরী জাহাঙ্গীর হোসেনসহ আরো দুই জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে, নৈশপ্রহরী জাহাঙ্গীর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন, ছাত্রলীগের চার নেতা কারাগারে আছেন এবং বাকি দুই জন পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি দীর্ঘ এক বছর তদন্ত শেষে পাথরঘাটা উপজেলা ও কলেজ ছাত্রলীগের চারনেতা, পাথরঘাটা কলেজের নৈশপ্রহরী জাহাঙ্গীরসহ আরও দুই জনকে অভিযুক্ত করে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে ডিবি পুলিশ। বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামিদের মধ্যে কয়েকজনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে স্থানান্তর করেন।
এদিকে, দীর্ঘ এক বছর পর তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিল করলেও ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ওই তরুণীর পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি ডিবি পুলিশ।
এ বিষেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. বশির উদ্দিন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ওই তরুণীর গলিত মরদেহের ছবি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তার কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। এমনকি রিমান্ডে বারবার চেষ্টা করেও আসামিদের মুখ থেকে ওই তরুণীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
২০১৭ সালের ১০ আগস্ট পাথরঘাটা কলেজের পশ্চিম পাশের পুকুর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ১১ ও ১২ নভেম্বর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদ ও নৈশপ্রহরী জাহাঙ্গীর।