চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে নিহতের ৩০ দিন পর লাশ উত্তোলন করেছে প্রশাসন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের কর্মীদের ছুরিকাঘাতে নিহত আজাদ সরকারের লাশ ৩০ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করেছে প্রশাসন। মামলার তদন্তের স্বার্থে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার টোরাগড় এলাকার নিহতের পারিবারিক কবরস্থান থেকে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল্লাহর তত্ত্বাবধানে এ লাশ তোলা হয়।
এ সময় চাঁদপুর জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাকারিয়া হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশ মোতাবেক মামলার তদন্তের স্বার্থে আজাদ সরকারের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
নিহত আজাদ সরকারের ছেলে আহাম্মেদ কবির হিমেল ও ভাগ্নে নাসরিন আক্তার জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পানি পান করানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগের কর্মী আজাদ সরকারকে কুপিয়ে জখম করে। পরে কুমিল্লায় নেওয়ার পথে মারা যান তিনি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবার বিচারের দাবি করেন তারা।
এ দিকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয় কাউন্সিলর কাজী মনির হোসেন।
গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের পানি খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে আজাদ সরকারকে কুপিয়ে জখম করে আওয়ামী লীগের কর্মীরা। এ ঘটনায় নিহত আজাদ সরকারের ছেলে আহাম্মেদ কবির হিমেল বাদী হয়ে ১৫ জনকে নামীয় ও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে নুরু কাজী (৫২) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।