এপ্রিল ২৯, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
আন্তর্জাতিক জাতীয় রাজণীতি

নো মোর সিদ্দিক’ স্লোগানে উত্তাল শেখ হাসিনার সংবর্ধনাস্থল

নিউইয়র্কে ‘নো মোর সিদ্দিক’ স্লোগানে উত্তাল ছিল শেখ হাসিনার সংবর্ধনাস্থল। নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘প্রবাসী নাগরিক সংবর্ধনা’ শীর্ষক সমাবেশের সভাপতি তথা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানকে সরিয়ে নতুন কমিটির দাবিতে নেতাকর্মীদের মুখে এ স্লোগান শোনা গেছে বারবার।

জাতিসংঘের ৭৩ তম অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে শেখ হাসিনা ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিউইয়র্কে অবতরণের কয়েক ঘণ্টা পরই নিউইয়র্ক সিটির হিল্টন হোটেলের বলরুমে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এ সংবর্ধনা সমাবেশ হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে অবস্থান করবেন এবং সে সময়ের মধ্যেই কমিটির দাবি পূরণ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

জাতীয় সঙ্গীত সমাচার:
সমাবেশের সঞ্চালক যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সামাদ আজাদের আহ্বানে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সময় সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও কণ্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান বলেন, ‘অন্যান্যবার হারমোনিয়াম তবলাসহ বিভিন্ন যন্ত্রের ব্যবস্থা থাকে। এবার কিছুই নেই। তাই আমাকে খালি গলায় গাইতে হবে এবং আপনাদেরকেও কণ্ঠ মেলাতে হবে।’ এভাবেই তিনি আয়োজকদের অব্যবস্থাপনার প্রতি ইঙ্গিত করেন।

বিরক্ত ছিলেন অতিথিরা:
আমন্ত্রিত অতিথিদের বসার জন্য তেমন কোন ব্যবস্থা নজরে পড়েনি। এজন্যে ঢাকা থেকে আসা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনেকেই বিব্রতবোধ করেন। এমনকি জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনেরও আসন হয়নি দর্শক সাড়িতে। স্বেচ্ছাসেবকরাও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনার অভাবে ছিলেন।

ফুুলেল শুভেচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন:
শুরুতে সমাবেশের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ঘোষণা করেন, সভাপতি শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাবেন ৯ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। তিনি তাদের নামও ঘোষণা করেন। একেক সংগঠনের ৫ জনকে প্রস্তুত থাকারও আহবান জানান। সে অনুযায়ী সবকিছু ঠিক থাকলেও তার বাস্তবায়ন ঘটেনি। অর্থাৎ সমাবেশ আপন গতিতে শেষ হলেও শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদানের পর্বটি বেমালুম ভুলে যান সঞ্চালক।

‘নাগরিক সংবর্ধনা’ নাম দেয়া হয়, অথচ শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা কিংবা সংবর্ধিত করা হলো না। এমনকি নাগরিকদের কারো বক্তব্য দেয়ার সুযোগও ছিল না। সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ। এরপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম এমপি বক্তব্য দেন।

এই সমাবেশের মঞ্চে বসেছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদকরা। কিন্তু তাদেরকে একবারের জন্যেও পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, ৩ বছরের অনুমোদিত কমিটির বয়স এখন ৭ বছর।  ফলে মাঠ পর্যায়ের অধিকাংশই দাবি জানাচ্ছেন নতুন কমিটির। ড. সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বছরের অধিকাংশ সময়ই রাজধানী ঢাকায় থাকেন তিনি এবং নানা ধরনের ব্যবসা ও তদবিরবাজি করেন। আরো অভিযোগ, নিজের স্বার্থে অধস্তন নেতা-কর্মীর মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ লাগিয়ে রাখেন। তার কারণে যুবলীগ, শ্রমিক লীগে বিভক্তির রেখা বিস্তৃত হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থার অবসানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ কয়েক দফা আহবান জানিয়েছেন কিন্তু কোন লাভ হয়নি।

সম্পর্কিত পোস্ট

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ

banglarmukh official

২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে

banglarmukh official