পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃঃ পটুয়াখালীর দশমিনায় নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী সুমি আক্তার (৩০) মারা গেছেন। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সুমি আক্তার দশমিনা থানার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) সহিদুল আলমের স্ত্রী।
এর আগে, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে দশমিনা থানা সংলগ্ন ভাড়া বাসায় নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেন সুমি আক্তার। এতে তার শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওই দিন রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শে-রে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তিনি মারা যান।
সহিদুল আলম ও তার স্ত্রী সুমি আক্তারের বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায়। তাদের কোনো সন্তান ছিল না। এ কারণে স্ত্রী সুমি আক্তার হতাশা থেকে বিভিন্ন সময় অস্বাভাবিক আচরণ করতেন।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, চিকিৎসাধীন অবস্থায় সহিদুলের স্ত্রী ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন। তার মরদেহ পিরোজপুর মঠবাড়িয়ায় নেওয়া হয়েছে।