লেবাননের বৈরুতের শহরতলিতে ইসরাইলি বিমান হামলায় তিন শিশু ও সাত নারীসহ অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার এ হামলা হয়েছে।
প্রায় এক বছর ধরে চলা হিজবুল্লাহ ও ইসরাইল সংঘর্ষের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক এ হামলায় নিহতদের মধ্যে হিজবুল্লাহর ১৬ সদস্যও রয়েছে। খবর রয়টার্সের
হিজবুল্লাহ বলেছে, শুক্রবারের হামলায় তাদের এক সিনিয়র নেতা ইব্রাহিম আকিল ও আরেক শীর্ষ কমান্ডার আহমেদ ওয়াহবিসহ ১৬ যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে টানা দুই দিনের হামলার পর হিজবুল্লাহর ওপর আরও একটি হামলার ঘটনা ইসরাইল ও ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির মধ্যকার দ্বন্দ্বকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
শুক্রবারের হামলার ওই স্থানে সাংবাদিকদের হিজবুল্লাহ সংলগ্ন পরিবহনমন্ত্রী আলী হামিহ বলেছেন, অন্তত ২৩ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
তিনি বলেন, ইসরাইলি শত্রুরা এই অঞ্চলকে যুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। ধসে পড়া ভবনগুলো খনন করতে উদ্ধারকারীদের সাহায্য করার জন্য যানবাহন ও সরঞ্জাম পাঠিয়েছিল মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, আমরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে নারী ও শিশুদের উদ্ধার করছি।
মধ্যরাতের ঠিক পরে একটি বিবৃতিতে আকিলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হিজবুল্লাহ। বিবৃতিতে তাকে ‘শীর্ষ নেতাদের একজন’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
এর আগের হামলায় হিজবুল্লাহ সদস্যদের ব্যবহৃত পেজার ও ওয়াকি-টকি বিস্ফোরিত হয়েছিল। এতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন তিন হাজার জনেরও বেশি মানুষ।
পেজার ও ওয়াকি-টকি বিস্ফোরণের জন্য ইসরাইল দায়ী বলে ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয়েছিল। তবে ইসরাইল এমন অভিযোগ স্বীকার বা নাকচ করেনি।