অনলাইন ডেস্ক ::
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় মা ও মেয়েকে ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার আসামিকে গুলি করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খোকন মিয়া (৩০) নামে ধর্ষণ মামলার ওই আসামিকে রোববার রাত ১টার দিকে উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
একই সঙ্গে পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে খোকন মিয়ার বাবাকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার খোকন বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ধননগর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা গেছে, খুলনার এক নারীকে বিয়ের কথা বলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ওসমানীনগরে একসঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন খোকন মিয়া। ১৪ আগস্ট ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে ওই নারীর কিশোরী মেয়েকে (১৩) নিয়ে যান খোকন। এরপর থেকে দুজনের খোঁজ পাচ্ছিলেন না ওই নারী। মেয়ে নিখোঁজ উল্লেখ করে থানায় জিডি করেন তিনি।
এরই মধ্যে ৪ সেপ্টেম্বর মেয়ে গোপনে মাকে ফোন করে জানায় খোকন তাকে অপহরণ করে উমরপুরে নিয়ে গেছে এবং একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। বিষয়টি জেনে রোববার রাতে ওসমানীনগর থানায় মামলা করেন কিশোরীর মা।
পুলিশ জানায়, রোববার রাত ১টার দিকে আসামি ধরতে উমরপুরের কামালপুরে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। খোকনকে গ্রেফতার করে ফেরার পথে খোকনের বাবা জাহাঙ্গীর আলীর নেতৃত্বে একদল লোক আসামি ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ গুলি ছুড়লে খোকনের ডান পায়ে গুলি লাগে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সেই সঙ্গে জাহাঙ্গীরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসমানীনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আল মামুন বলেন, কিশোরীকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ খোকনকেও হাসপাতালে ভর্তি করা রয়েছে। আর খোকনের বাবা জাহাঙ্গীর আলীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।