মুক্তিযোদ্ধার জাল সনদ দিয়ে নারী কনস্টেবল পদে চাকুরি নেয়ার অভিযোগে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাসহ নারী কনস্টেবলকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।
সোমবার বরিশাল অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মারুফ আহম্মেদ তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
জেল হাজতে প্রেরণকৃতরা হলেন- বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া এলাকার মৃত করিম গাজীর ছেলে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সুবেদার আব্দুল লতিফ গাজী এবং তার মেয়ে নারী কনস্টেবল মিল্কী আক্তার।
মামলার বরাত দিয়ে কোতয়ালী মডেল থানার এসআই খোকন জানান, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে ২০১০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী নারী কনস্টেবল মিল্কী আক্তার চাকুরি পায়। পরে মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাছাইয়ে জানাযায় মিল্কীর আক্তারের পিতা সাবেক সুবেদার আব্দুল লতিফ গাজীর সনদটি জাল।
এর আগে ৬ মাসের ট্রেনিং শেষ করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদান করে নারী কনস্টেবল মিল্কী আক্তার।
পরে পুলিশ হেডকোয়াটার্সের নির্দেশে রিজার্ভ পুলিশের এসআই কবির হোসেন ২০১৮ সালের ৩০ মে বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
সোমবার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে বিচারক উভয়কে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।