আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, মির্জা ফখরুলদের জাতিসংঘে যাওয়া জনগণকে ধোঁকা দেওয়া ছাড়া অন্য কিছু নয়। তারা জাতিসংঘে গিয়ে জাতিসংঘের সর্বনিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করেছেন। এ লজ্জা তিনি ঢাকতেও পারছেন না। এজন্য সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞেস করলেন আপনারা কার সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি তখন আমতা আমতা করছিলেন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও নেতৃত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব আফ্রিকায়। তারা দেখা করলেন জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারির সঙ্গে। আমাদের দেশের মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকে, তারপর অতিরিক্ত সচিব, উপ-সচিব, যুগ্ম-সচিব, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি তারপর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি। অর্থাৎ বিসিএসের মাধ্যমে কেউ প্রশাসনে চাকরি নিলে সর্বপ্রথম অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ পান।
তেমনি জাতিসংঘেরও অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সর্বনিম্ন বা প্রাথমিক পদবি। মির্জা ফখরুল ইসলামকে যখন সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলেন কি আলোচনা হয়েছে, তিনি আমতা আমতা করে কিছুই বলতে পারলেন না। অর্থাৎ এগুলো দেশের জনগণের সঙ্গে ভাওতাবাজি ছাড়া অন্য কিছু নয়।’
রাজনীতিতে কিছু পরিত্যক্ত রাজনীতিবিদ আছে উল্লেখ করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম আব্দুর রব, বদরুদ্দুজা চৌধুরী তারা হচ্ছে রাজনীতিতে পরিত্যক্ত ব্যক্তিত্ব। এই পরিত্যক্ত রাজনীতিবিদদের নিয়ে ঐক্য করে কোনো লাভ হবে না।
তাদের নিজেদের এমপি হওয়ারও এলাকায় জনপ্রিয়তা নাই। তারা রাত-বিরাতে মিটিং করে খবরের জন্ম দিচ্ছেন বটে, নির্বাচন এলে দেখা যাবে খালেক ভাই আর বাবলা ভাইয়ের কাছে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে। সুতরাং এদের এই সমস্ত দৌড়ঝাপেও কোনো লাভ হবে না।