প্রতিদিনই কভিড-১৯-সংক্রান্ত নতুন নতুন খবর আমাদের সামনে আসছে। এবার জানা গেছে, কভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীর শরীর থেকে ভাইরাস নির্মূল হয়েছে কিনা তা জানতে সময় লাগতে পারে এক মাস। কেবল তা-ই নয়, মঙ্গলবার ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুসারে, পাঁচটি নেতিবাচক ফলাফলের মাঝে একটি মিথ্যা হতে পারে।
ইউনিভার্সিটি অব মডেনা অ্যান্ড রেজিও এমিলিয়ার ড. ফ্রান্সেসকো ভেনটুরেলি এবং তার অন্য কলিগরা ইতালির রেজিও এমিলিয়া প্রদেশে ১ হাজার ১৬২ জন রোগীকে নিয়ে গবেষণা করেছেন, যারা কভিড-১৯-এর জন্য পিসিআর টেস্ট পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছিলেন।
রোগীদর পুনঃপরীক্ষা করা হয় প্রথমবার পরীক্ষা করার ১৫ দিন পর, দ্বিতীয় পরীক্ষার ১৪ দিন পর এবং তৃতীয় পরীক্ষার ৯ দিন পর। গবেষকরা ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পরামর্শ অনুসারে সময়ের এ ব্যবধানগুলো নির্ধারণ করেন।
ফলে দলটি বলেছে, পাঁচটি নেগেটিভ ফলের একটি হচ্ছে ফলস নেগেটিভ। তাদের মতে, এমন হতে পারে যে অনেকে নেগেটিভ হওয়ার পরও ভাইরাস নিয়ে ঘুরছে এবং নিজের অজান্তেই তারা এটা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
গবেষকরা নির্ধারণ করেছেন যে কোনো রোগী টানা দুটি পিসিআর পরীক্ষায় নেগেটিভ এলে তার শরীর থেকে ভাইরাস নির্মূল হয়েছে বলে ধরে নেয়া যাবে।
সব মিলিয়ে ভাইরাস যেতে রোগ নির্ণয় হওয়ার পর ৩০ দিন এবং রোগীর শরীরে লক্ষণ দেখা যাওয়ার পর ৩৬ দিন সময় লাগতে পারে। তবে বয়স্ক এবং যাদের রোগের তীব্রতা বেশি তাদের ক্ষেত্রে সময়টা আরো বাড়তে পারে।
সিএনএন