বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আজও বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। রবিবার সকাল নয়টা থেকে আগের ২৪ ঘন্টায় জেলায় ২২১.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে ভোগান্তি নেমে এসেছে। বিভিন্ন নিচু স্থানে পানি জমে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
তলিয়ে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের, পুকুর ও আমন ক্ষেত। দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমন চাষী ও বর্ষাকালীন সবজি চাষীরা।
এদিকে নিন্মচাপের প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে নদ-নদীর পানির উচ্চতা।
বাতাসের চাপও অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শংকা করছে আবহাওয়া অফিস। তাই পায়রা সহ সব সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
একই সাথে মাছধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। স্থানীয়রা জানান, নিন্মচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল হওয়ায় শত শত মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে শিববাড়িয়া নদীর দুই তীরে মৎস্য বন্দর আলিপুর ও মহিপুর আড়ৎ ঘাটে নোঙর করে আছে।
ঝড়ো হাওয়া আর ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে সকল জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ি এবং শ্রমিকরা অলস সময় পার করছেন।
এদিকে লাগাতার বৃষ্টিতে আমন ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির পানিতে উপজেলার চাকামইয়া, নীলগঞ্জ ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের আমন ধানের চারা তলিয়ে আছে।
দু এক দিনে কৃষি জমিতে আটকে পড়া পানি নিষ্কাশন করা না হলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
মৎস্য ব্যবসায়িরা জানান, বর্তমানে সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই সকল মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদে আশ্রয়ে এসেছে। মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজা বলেন, এক সপ্তাহ ধরে মাছ ধরার বেশির ভাগ ট্রলার আড়ৎ ঘাটে নোঙর করা রয়েছে।
আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাবে এসব জেলেরা সাগরে যেতে না পারায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এছাড়া বারবার লঘুচাপ ও নিন্মচাপের কারনে মৎস্য ব্যবসায় শত কোটি টাকার লোকসান হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
এই অবস্থা চলতে থাকলে মৎস্য ব্যবসায়িরা পেশার পরিবর্তণ করতে বাধ্য হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।