গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম সংসদকে জানিয়েছেন, সারাদেশে জেলা ও উপজেলায় স্বপ্ল আয়ের মানুষের আবাসিক সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রকল্প গ্রহণ করেছে। চাহিদার প্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই করে আরো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রী রোববার একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনের প্রথম দিনে সংসদে এ তথ্য জানান। টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে বিভিন্ন এলাকার সংসদ সদস্যদের দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মহিলা আসন-১৮’র সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে আরো জানান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ স্বল্প আয়ের মানুষের আবাসিক সমস্যা সমাধানে কাজ করে। তবে এই মুহুর্তে বরিশালে বাস্তবায়নাধীন কোনো প্রকল্প নেই। বরিশালের জাগুয়া মৌজায় জমি অধিগ্রহণ নিশ্চিত না হওয়ায় ২০১৫ সালে একটি ডিপিপি গ্রহণ করা হলেও তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
মহিলা আসন-৭ এর বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান ও নওগাঁ-২ আসনের শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একই তথ্য জানান।
ঢাকা-১১ আসনের একেএম রহমতুল্লাহ’র প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে আরো জানান, ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে গতে ওঠা বস্তি, দোকান অবিলম্বে উচ্ছেদ করে মহানগরীতে তিলোত্তমা ও পরিচ্ছন্ন নগরীতে রূপান্তরের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। তবে রাজউকের কোনো জমিতে কোনো বস্তিঘর নেই। মাঝে মধ্যে ছোট খাট ভাসমান দোকান, রিক্সা গ্যারেজ স্থাপিত হলেও রাজউক নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে।
মহানগরীতে তিলোত্তমা নগরীতে রূপান্তরের জন্য রাজউক হাতিরঝিল সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। গুলশান, বনানী, বারিধারা ও উত্তরা লেক উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। কুডিল পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশ্বেবালু নদী পর্যন্ত ১০০ ফুট খাল খনন প্রকল্প চলমান রয়েছে।
তিনি জানান, ২০১৭ সালে মিরপুরের পাইকপাড়ায় ১৪ একর জমি অবৈধ দললদারদের হাত থেকে উচ্ছেদ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।