ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘খুব শিগগিরই সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি তথা হাইটেক পার্ক বাস্তব রূপ লাভ করবে। এখানে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এতে পাল্টে যাবে গোটা সিলেটের চিত্র। সিলেট হয়ে ওঠবে সত্যিকারের ডিজিটাল সিটি। হাইটেক পার্কের ছোঁয়া লাগবে সিলেট নগরীতেও। এখানে গড়ে তোলা হবে আইসিটি ভবন ও ইনফরমেশন সেন্টার।’
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে নির্মিতব্য হাইটেক পার্কে বিনিয়োগে আইটি খাতের উদ্যোক্তাদের আগ্রহীকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
রবিবার সকালে সিলেট চেম্বারের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাংসদ ইমরান আহমদ।
সেমিনারে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার আরো বলেন, ‘সিলেট হাইটেক পার্কসহ দেশের অন্যান্য হাইটেক পার্কের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিশ্বের ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবে। দেশের শিল্পক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। সিলেট হাইটেক পার্ক হবে দেশের অন্যতম সেরা।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণায়লয়কে যে সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন, তা অন্য যেকোন মন্ত্রণায়লয় থেকে বেশি। পাশাপাশি অর্থমন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড হাইটেক পার্কের জন্য যা যা প্রয়োজন সব করে দিয়েছেন। তাদের কাছে আর কিছুই চাওয়ার নেই।’ হাইটেক পার্কে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সিলেট-ঢাকা রুটে সকল-সন্ধ্যায় ডমেস্টিক ফ্লাইট চালুর আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক সালেহ উদ্দিন আহমদ, সিলেট রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি কামরুল আহসান, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ প্রমুখ।