শামীম ইসলাম:
কুমিল্লার তিতাসের আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মনির হোসেন এবং দাউদকান্দির ইসলাম হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়া মনির ওরফে কালা মনিরকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার কালা মনির তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামের মৃত কানু মোল্লার ছেলে। মঙ্গলবার বিকেলে দুটি হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ জালাল উদ্দিনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মনির। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা কুমিল্লা ডিবি পুলিশের এসআই সহিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ডিবির একটি টিম নিয়ে সোমবার রাতে দাউদকান্দির গৌরীপুর থেকে দুটি হত্যার মিশনে সরাসরি অংশ নেয়া ঘাতক কালা মনিরকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করার পর দুটি হত্যার বিষয়ে ১৬৪ ধারায় পৃথক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
গত ৩ মে গভীর রাতে দাউদকান্দির বাজরা গ্রামে মো. ইসলামকে সন্ত্রাসীরা নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গুলি চালিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে নেয়ার পর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুমি আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
অপরদিকে, গত ২৪ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিতাসের ভাটিপাড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মনির হোসেন বাড়ির পাশে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বসে থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসীরা গুলি ও কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
তাকে উদ্ধার করে দাউদকান্দির গৌরীপুর হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মোক্তার হোসেন বাদী হয়ে তিতাস থানায় পরদিন হত্যা মামলা করেন।
দুটি হত্যা মামলায় সরাসরি কালা মনির অংশ নেয়। বর্তমানে দুটি হত্যা মামলা তদন্ত করছেন ডিবি পুলিশের এসআই সহিদুল ইসলাম।
এসআই সহিদুল ইসলাম বলেন, ঘাতক কালা মনির আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মনির ও ইসলাম হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে পৃথক পৃথক জবানবন্দি দিয়েছে। দুটি হত্যাকাণ্ডে একই পিস্তলের গুলি ব্যবহার করা হয়েছে। এর আগে হাজী মনির হত্যা মামলায় তিতাস থেকে মোফাজ্জল ও সুমনকে গ্রেফতারের সময় উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গুলি পরীক্ষা করে এর প্রমান পাওয়া যায়। ঘাতক কালা মনিরের বিরুদ্ধে দাউদকান্দি ও তিতাস থানায় হত্যা, অস্ত্রসহ ৮টি মামলা রয়েছে।