জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেছেন, কোটার কারণে জাতীয় মেধা তালিকার পেছন থেকে অনেকে চলে আসে। তবে মেধা তালিকার বাইরে থেকে আসার কোনো সুযোগ নেই।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ‘৩৬ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী কমিশনারদের পাঁচ দিনের ওরিয়েন্টেশন ট্রেনিংয়ের’ সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জনপ্রশাসন সচিব। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। এতে ৬২ জন শিক্ষানবিশ সহকারী কমিশনার অংশ নেন।
নতুন সহকারী কমিশনারদের উদ্দেশে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, ‘তোমরা যারা বিসিএসে রিটেন (লিখিত) পাস করেছ, ভাইভা পাস করে এখানে এসেছ, তাঁরা কি অমেধাবী। নিঃসন্দেহে নয়। হ্যাঁ কোটার কারণে জাতীয় মেধা তালিকার পেছন থেকে অনেকে চলে আসে। তবে মেধা তালিকার বাইরে থেকে আসার কোনো সুযোগ নেই।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সচিব বলেন, কোনো অবস্থাতেই ‘অমেধাবীদের’ বিসিএসে আসার সুযোগ নেই। গত ১০টি বিসিএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা কোটা ১০ শতাংশের বেশি পূরণ হয়নি। নারী কোটাও পূরণ হয় না। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শূন্য আসনগুলো মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হয়। সরকার কোটা পর্যালোচনা করছে।
কোটা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে উল্লেখ করে জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন, ‘তোমরাও (শিক্ষানবিশ সহকারী কমিশনার) বিদ্রোহী হয়ে থাকতে, যদি তোমাদের রেজাল্ট না আসত। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। আমি জনপ্রশাসনের সচিব। এ জায়গা থেকে আমাকে কোটা নিয়ে অনেক কাজ করতে হয়েছে। দেশ-বিদেশের অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছি। বিশ্বের এমন কোনো দেশ নেই, যেখানে কম করে হলেও কিছু কিছু কোটা আছে।’
পরিশ্রম ও সততার মাধ্যমে দায়িত্ব পালনে নবীন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান জনপ্রশাসন সচিব ফয়েজ আহম্মদ। তাঁদের উদ্দেশে সচিব বলেন, পদের কারণে যেন নিজেদের মধ্যে অহংকারবোধ না আসে। নমনীয় হতে হবে। পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। দায়িত্ব পালন করতে হলে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ধারণা থাকতে হবে। বই-পত্রিকা পড়তে হবে। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকতে হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের চট্টগ্রামের পরিচালক দীপক চক্রবর্তী, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী।