খুলনা প্রতিনিধি//জান্নাতুল ফেরদৌস:
পুরোনো ভবনে জিবন ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান, আতংকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা । ঝিনাইদহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত উজির আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৯০ জন শিশু শিক্ষার্থী ঝুকিপুর্ন ভবনে এখন ক্লাস করছে। বিদ্যালয় ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরেছে। পানিতে নষ্ট হচ্ছে ছাদ ও দেয়াল। শ্রেনী কক্ষের পলেস্তারা খসে পড়ছে। জোড়াতালি দিয়ে ভবন মেরামত করে চালানো হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা আতংকের মধ্যে রয়েছে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ১৯০৩ সলে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে স্কুলটি নির্মান করা হয়। ১৯৭৩ সালে স্কুলটি সরকারী করণ করার ৯ বছর পর ১৯৮২ সালে পুন নির্মান করে শ্রেনী কক্ষ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ পুরানো ভবনের উপর ১৯৯৯ সালে মেরামত করা হলেও ২০ বছরের মধ্যে কোন নতুন ভবন নির্মান করা হয়নি। উজির আলী স্কুল ভবনটি ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে নষ্ট হয়ে গেছে, মাত্র চারটি শ্রেনীকক্ষে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। ক্লাসের ভবনগুলো জনাজীর্ণ ও পানিতে দেয়াল রসে আছে। সিড়ি ঘরের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। বিভিন্ন রুমের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ায় নতুন করে করা হয়েছে। রং চং করা হলেও সর্বক্ষন দেয়াল রসে থাকার কারণে নোংরা দেখা যাচ্ছে। উজির আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি শিক্ষাসহ নানা বিভাগে জেলার মধ্যে ভাল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেও নতুন ভবনের অভাবে শিক্ষকরা মনোবল হারিয়ে ফেলছেন। সব সময় শংকার মধ্য দিয়ে তাদের ক্লাস নিতে হয়। উজির আলী সরকারী প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম লিকু জানান, ১১৬ বছরের একটি প্রাচীন স্কুলের ভবন নির্মান এখন সময়ের দাবীতে পরণিত হয়েছে। কারণ মুল ভবনটি অনেকটাই ঝুকিপুর্ন। সব সময় দেয়াল, ছাদ রসে থাকে। ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা জানান, এর আগে উজির আলী স্কুলের নতুন ভবন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু জায়গা না থাকায় করা সম্ভব হয় নি। ওই কর্মকর্তা জানান, নতুন ভবনগুলো একশো ফুট লম্বা ও ৫ কক্ষ বিশিষ্ট হচ্ছে। কিন্তু উজির আলীতে এমন জায়গা নেই। শিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন ঝিনাইদহ সফরকালে বিষয়টি আলোচিত হলেও এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।