26 C
Dhaka
এপ্রিল ৩০, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জাতীয় প্রচ্ছদ প্রশাসন

নিরাপত্তা আইন: সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে পুলিশকে

বাংলাদেশের সংসদে পাশ হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোন পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশকে গ্রেফতারের যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, সেটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করবে বলে আশংকা করছেন সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মীরা।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রস্তাবে পরোয়ানা ছাড়া পুলিশকে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল যেই ধারার অধীনে, সেই ধারায় সংসদীয় কমিটি প্রস্তাব করেছিল যে পরোয়ানা ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা বা ব্যক্তিমালাকানাধীন ডিজিটাল ডিভাইস তল্লাশি বা জব্দ করার ক্ষেত্রে সরকারের ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালকের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

তবে শেষমুহুর্তে মহাপরিচালকের অনুমোদন নেয়ার বিধানটি বাদ দিয়ে সংসদে পাস হয়েছে বিলটি।

অর্থাৎ একজন পুলিশ অফিসার এখন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই সন্দেহভাজন ব্যক্তির ব্যবহার করা ডিজিটাল ডিভাইস তল্লাশি ও জব্দ করাসহ ঐ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করতে পারবেন।

কেন বাদ দেয়া হলো মহাপরিচালকের অনুমোদন নেয়ার বিধান?

মহাপরিচালকের অনুমোদনের বিধানটি কোন যুক্তিতে বাদ দেয়া হলো, সে-বিষয়ে বাংলাদেশের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, “একটি ঘটনা ঘটার সময় পুলিশের যদি মহাপরিচালকের অনুমতির অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে অন্তত ডিজিটাল অপরাধ দমন করা সম্ভব নয়।”

মি. জব্বার বলেন অপরাধ সংঘটনের সময় যেন পুলিশ আমলাতান্ত্রিক জটিলতার শিকার হয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাধাগ্রস্থ না হয় সেজন্যেই বাদ দেয়া হয়েছে মহাপরিচালকের অনুমোদনের বিধানটি।

“অপরাধ সংঘটনের সময় পুলিশ যদি পদক্ষেপ নিতে না পারে, তাহলে তো অপরাধ সংঘটিত হয়েই যাবে, সেটিকে আর থামানো যাবে না”, বলেন মি. জব্বার।

এই আইনের বিভিন্ন অনুষঙ্গ নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মীসহ নানা পক্ষ।

সাংবাদিকদের আপত্তি কী নিয়ে?

সাংবাদিকরা বলছেন পুলিশ অফিসারের হাতে এই পরিমাণ নির্বাহী ক্ষমতা থাকলে সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা খর্ব ও নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি হয়রানিরও সম্ভাবনা থাকে।

সম্পাদকদের পরিষদ ‘এডিটরস কাউন্সিল’এর সাধারন সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, “এই আইন বাস্তবায়িত হলে একজন পুলিশ অফিসারের চিন্তায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নির্ভর করবে। পত্রিকায় কি ছাপানো হবে, তার ফলে সাংবাদিককে গ্রেপ্তার হতে হবে কিনা – এসব বিষয়ে একজন পুলিশ অফিসার শুধুমাত্র সন্দেহও যদি পোষণ করেন তবুও একজন সাংবাদিকের স্বাধীনতা বিঘ্ন হয়।”

মি. আনাম মন্তব্য করেন শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে একজন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা বা তাঁর ব্যবহারের ডিজিটাল ডিভাইস বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি করার ক্ষমতা একজন পুলিশ অফিসারের হাতে অর্পণ করা উচিত নয়।

তবে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর মতে, আইন শষৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা এই ধারার অপব্যবহারের সুযোগ নেই।

“একজন পুলিশ অফিসার আইনের অপব্যবহারও করলেও চূড়ান্ত বিচার করার ক্ষমতা তো তাঁর নেই। বিচার তো আইন অনুযায়ী আদালতই করবে। কাজেই এই ধারার অধীনে আইনের অপব্যবহারের সুযোগ নেই”, বলেন মি. জব্বার।

পাশাপাশি এই আইন থেকে সাংবাদিকদের বাদ রাখার যে আবেদন করা হয়েছিল তা বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক বলেও মন্তব্য করেন তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী।

সম্পর্কিত পোস্ট

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে

banglarmukh official