নিজস্ব প্রতিবেদক ::
বরিশালের উজিরপুরে রিমা আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ির পাশের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে স্বজনদের দাবি, হত্যার পর ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্যই তার মরদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উজিরপুরের সাতলা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যদিকে শ্বশুরবাড়ির পাশ থেকেই রিমার মরদেহ উদ্ধার করা হলেও খুঁজে পাওয়া যায়নি সেই বাড়ির কাউকে। রিমার স্বামীসহ সেই বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।
মৃত গৃহবধূ রিমা আক্তার বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার জয়রামপট্টি এলাকার মৃত বাবুল মিয়ার মেয়ে। দীর্ঘ আট বছর আগে উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মন্নান বেপারীর ছেলে মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সাংসারিক জীবনে মিজান ও রিমা দম্পতির আবু সাঈদ নামে ৫ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে।
রিমার চাচা গোলাম মাওলা জানান, রিমা দেখতে একটু কালো হওয়ায় বিয়ের সময় যৌতুক দিতে হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ ৮ বছরের সংসার জীবনকালে মিজান ও তার পরিবারকে বিভিন্ন সময়ে ওই কারণেই গরু, নগদ অর্থসহ বহু কিছুই দিতে হয়েছে।
সর্বশেষ মিজান ও তার পরিবার এক লাখ টাকা যৌতুক চায়। কিন্তু তা দিতে অপারগতা জানালে রিমার স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুড়ি, দেবর-দেবরের স্ত্রী তার ওপর অমানসিক নির্যাতন শুরু করে।
তিনি বলেন, রিমা আত্মহত্যা করার হলে আরও আগেই করতো। সন্তান বড় হয়েছে, এখন কেনো করবে? তাকে হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আর তা না হলে ওই বাড়ির সবাই পালিয়ে যাবে কেন?
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল, এসআই রুহুল আমিন, এসআই হরিদাশ নাগসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশের এ কর্মকর্তারা জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল (শেবামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।