পাকিস্তান সিরিজে খেলা অবস্থাতেই বড় দুঃসংবাদ পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে এক গার্মেন্টসকর্মীকে হত্যার দায়ে রাজধানীর আদাবর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। সে সময় সাকিবকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেশে ফেরানোরও জোর দাবি উঠেছিল।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অভিযোগ প্রমাণের আগ পর্যন্ত সাকিবের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। যার ফলে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান সাকিব। পাকিস্তান সিরিজে বলে-ব্যাটে একেবারে মন্দ পারফর্ম করেননি তিনি। বিশেষ করে মিরাজের সঙ্গে তার স্পিন জুটি বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পথ সুগম করেছে।
কানাডায় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলে সরাসরি পাকিস্তানে গিয়ে সিরিজে খেলেছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব। মামলার খড়গ মাথার ওপরে থাকায় ভারত সিরিজের আগেও দেশে ফেরা হয়নি তার। দুই সিরিজের মাঝের সময়ে খেলেছেন ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে। সেখানে সারের জার্সিতে বল হাতে আলো ছড়িয়ে একমাত্র ম্যাচে নিয়েছেন ৯ উইকেট।
এবার দুয়ারে ভারত মিশন। শোনা যাচ্ছে, দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের জন্য চেন্নাইতে স্পিন সহায়ক উইকেট তৈরি করছে ভারত। এমনটা হলে ‘বোলার’ সাকিবের গুরুত্ব বেড়ে যাবে অনেক।