ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলায় হত্যার উদ্দেশ্যে মো. সাগর (৯) নামে এক তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরের পর তাকে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে যায় হামলাকারীরা।
ভোলার লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হরিগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার সাগর ওই এলাকার মাকসুল হায়দারের ছেলে ও স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। বর্তমানে মো. সাগর গুরুতর আহত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
আহত শিশুর পিতা মাকসুল হায়দার জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমার ছেলে ঘর থেকে বের হয়ে বাড়ির সামনে আসে। ওই সময় একই এলাকার শফিজলের মেয়ে স্বপ্না (২৮) ও নূরে আলমের ছেলে রিকা তাকে মুখ চেপে পাশের একটি নির্জল স্থানে নিয়ে বুকে ও পেটে লাথি মারে এবং দু’জনে তার গলা চাপ দিয়ে ধরে। ওই সময় সাগর জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা মৃত ভেবে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়।
তিনি জানান, ওই স্থান দিয়ে এক পথচারী যাওয়ার সময় সাগরকে পরে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাগরকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
তিনি বলেন, স্বপ্নার পিতা শফিজল ও রিকার পিতা নূরে আলমের সঙ্গে আমাদের জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলছিল। তারা কয়েকবার আমার সন্তানকে হত্যার করার হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শফিজলের ও নূরে আলম পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যার করার জন্য তাদের সন্তানদের দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি এর সঙ্গে জরিতদের উপযুক্ত বিচারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শফিজল ও নূরে আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রুল কবির জানান, এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।