ঢাকার ধামরাই উপজেলা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি সাংবাদিক জুলহাস হোসেনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ধামরাই থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। জুলহাস উদ্দিনের বোন রিনা খাতুন আজ শুক্রবার সকালে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ধামরাই থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা ধারালো অস্ত্রসহ শাহীন ও মোজাম্মেল নামের দুই ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করলেও এখনো পলাতক রয়েছে অপর তিন আসামি।
ধামরাইয়ের বারোবাড়িয়া এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাস থেকে নামার পরই আগে থেকে অনুসরণ করতে থাকা দুর্বৃত্তরা জুলহাসকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে সংকটাপন্ন অবস্থায় তাঁকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর।
নিহত জুলহাস হোসেন বিজয় টিভির ধামরাই উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হাফকুড়া গ্রামের মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ বলছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জুলহাস উদ্দিন ব্যক্তিগত কাজে নিজের প্রাইভেটকারে করে মানিকগঞ্জ যান। এ সময় তাঁর প্রাইভেটকারে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে সেটি একটি গ্যারেজে দিয়ে লোকাল বাসে করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন জুলহাস। বাসটি বারোবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে থামলে নামামাত্রই সন্ত্রাসীরা তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাঁকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে। গতকাল রাতেই ময়নাতদন্তের পর জুলহাসের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি হাতকোরায় দাফন করা হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় পলাতক হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে ধামরাই প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।’