বিয়ের প্রলোভনে নেপালি মেডিকেল কলেজ ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ নর্থবেঙ্গল মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা.তুহিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার রাতে পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে মেডিকেল ছাত্রীর অভিযোগে শহরের ধানবান্ধি মহল্লা থেকে তাকে আটক করা হয়। ডাঃ তুহিন নর্থবেঙ্গল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক। ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাড়ি নেপালে।
অভিযোগে জানা যায়, ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন অধ্যাপক ডা. তুহিন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে যৌন নিপীড়নও করেন। কিন্তু বিয়ের জন্য চাপ দিলে ডা.তুহিন বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে শুক্রবার দুপুরে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এরপর রবিবার বিকেলে আবারও ওই ছাত্রী বিয়ের জন্য ডা. তুহিনের বাড়ি যায়। তখন দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এরপর ওই মেডিকেল ছাত্রী বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষকে জানিয়ে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগের পরই ডা. তুহিনকে আটক করা হয়। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মেয়েটির অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ ডা. তুহিনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের অধ্য প্রফেসর ডা.এসএম আকরাম হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পরই ডা. তুহিনের বিরুদ্ধে কলেজের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।