নিউজ ডেস্কঃঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপ ভারতের স্থলভাগে উঠে লঘুচাপে পরিণত হওয়ার পর শক্তি ক্ষয়ে নিঃশেষ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের ওপর থেকেও কেটে গেছে এর প্রভাব। তাই সমুদ্রবন্দরগুলোতে বহাল থাকা ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
একই সঙ্গে আগামী দুদিন পর বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার দেশের অধিকাংশ অঞ্চলই ছিল বৃষ্টিহীন। সিলেটে কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য অঞ্চলে খুবই সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানান, পূর্ব-মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী দু-দিন পর বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহীতে।
সামুদ্রিক সতর্কবার্তার সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতিতে বলা হয়েছে, সমুদ্রবন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে সতর্কবার্তায়।