শুধু ছাত্রলীগ, যুবলীগ নয়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ*মনকি মন্ত্রী, এমপিদেরও অ*পকর্মের ত*দন্ত করা হচ্ছে। আ*ওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, প্র*ধানমন্ত্রীর নির্দেশে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রীর একটি নিজস্ব টীম এই কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছে।
*সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন অ*পরাধ এবং অ*নৈতিক তৎপরতার সঙ্গে যুক্ত ২৭জন এমপিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এরা দলের জন্য ক্ষতিকর। *এমপি হয়ে এরা স*ন্ত্রাস, চাঁ*দাবা*জি, টে*ন্ডারবা*জির সঙ্গে জড়িত বলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজস্ব টীম দিয়ে এই অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখছেন। ধারণা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী ফিরে আসার পর এমপিদের বিরুদ্ধেও এই ক্রাশ প্রোগ্রাম অব্যাহত করা হবে।
*সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, এই ২৭জন এমপির মধ্যে ঢা*কার এমপি অন্তত তিনজন। এদের এক*জনের বিরুদ্ধে অ*বৈধভাবে শ্মশানঘাটের জমি দখল করার অভিযোগ রয়েছে। আরেক এমপির বিরুদ্ধে রয়েছে টে*ন্ডারবা*জিসহ বিভিন্ন স*ন্ত্রাসী*দের লালন পালনের অ*ভিযোগ।
*বিভিন্ন সূত্র বলছে, মতিঝিল এ*লাকায় যেমন যুবলীগের ক্যা*সিনোর বিষয়ে সাংসদ রাশেদ খান মেননের সম্মতি ছিল ঠিক তেমনি ঢাকার বিভিন্ন স্থানে স*ন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এ*মপিদের যোগসাজশ রয়েছে বলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
*ঢাকা ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের একজন প্রভাবশালী এমপি যার সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব দেখা দেয় তাঁকেও কা*লো তা*লিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আ*না অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, বরিশাল, যশোর, রাজশাহীসহ অন্তত ১৭টি জেলার ২৭ এমপির বিরুদ্ধে এধরণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
*সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, প্রধানমন্ত্রী *এসব অভিযোগের ব্যাপারে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করেছেন। তিনি *একাধিক শীর্ষ নেতাকে বলেছেন, শুধুমাত্র ছাত্রলীগ, যুবলীগ নয় যারাই অ*পকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি এটাও বলেছেন যে, দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।
*সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, *এমপিদের বিরুদ্ধে নানারকম অ*বৈধ তৎপরতার অভিযোগ রয়েছে। তাঁদেরকে দলের বি*ভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সতর্ক করে দিয়েছেন। শেষ সতর্কবার্তা যদি তারা গ্রহণ না করেন সেক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সংগঠনের নামে কেউ স*ন্ত্রাসী, চাঁ*দাবা*জি, টে*ন্ডারবা*জি করলে বা স*ন্ত্রাসী*কে লালন করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কাউন্সিলের আগে দলের একটি ক্লিন ইমেজ আওয়ামী লীগ সভাপতি তৈরি করতে চান। এই ক্লিন ইমেজের অংশ হিসেবেই তিনি এই অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন বলে দলের শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন।