খুলনা প্রতিনিধি/ জান্নাতুল ফেরদৌস:
খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের দু’সদস্যর নামে মামলার চার্জশীটে নাম প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত ট্যাংকলরী শ্রমিকরা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। গতকাল দ্বিতীয় দিনে চারটি সংগঠনের নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। চার্জশীট থেকে নাম প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত খুলনা বিভাগের ১০ ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫ জেলায় ট্যাংকলরী চলাচল বন্ধ করে দেয়। পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তিনটি তেল ডিপো থেকে জ¦ালানী তেল উত্তোলন ও বিপনন থেকে বিরত রয়েছে মালিক ও শ্রমিকরা। আন্দোলনকে আরো জোরদার করতে ঢাকা থেকে দেশব্যাপী আন্দোলনকে ছড়িয়ে দিতে কেন্দ্রীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ফেডারেশনের সাথে আলোচনা করেছে খুলনার শ্রমিক নেতারা। ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মামলা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে নামার প্রস্ততি নেয়া হয়েছে বলে জানান শ্রমিক নেতারা। বাংলাদেশ তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন ও পদ্মা মেঘনা যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যান সমিতির আন্দোলনের করছে, খুলনা মটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও খুলনা বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারাও আন্দোলনে একমত পোষন করেছে। গতকাল সকাল থেকে ট্যাংকলরী শ্রমিকরা কাশিপুর মোড়ে তাদের কার্যালয়ে এসে সমবেত হয়। সকাল ১০ টায় তারা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিল বের করে। শ্রমিকদের মিছিল তিনটি ডিপোর সামনে আসে এবং সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে শ্রমিকরা। পরে খুলনা যশোর মহাসড়কের নতুন রাস্তা মোড়ে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। এ সময় সময় খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি সাব্বিরুল ইসলাম শ্রমিক নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে আন্দোলন প্রত্যারের আলোচনা ফলপ্রুস না হওয়ায় লাগাতাড় কর্মসুচি চলবে বলে জানান খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ নুর ইসলাম। এদিকে পাম্পগুলোতে জ্বালানি তেল বিক্রি ও পরিবহন বন্ধ থাকায় যানবাহন চালক ও পেট্রোলপাম্প গুলিতে তেলের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। আন্দোলন শুরু হওয়ার আগে মওজুদ করা তেল শেষ আসছে। তেল সরবরাহ না হওয়ায় যানবহন গুলিতে তেল সংকটে পড়ার আশংকা করা হচ্ছে।