রাকিব সিকদার নয়ন:
কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান দেওয়ায় আগামী ৪ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা জানাতে হবে শুকরানা মাহফিল।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর পীরজঙ্গী মাজার মাদ্রাসায় এ শুকরানা মাহফিলের প্রস্তুতি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে এ সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুকরানা মাহফিল সফলের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এ মাহফিলে কাদিয়ানিদের সরকারিভাবে অমুসলিম ঘোষণা, ইসলামবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করা এবং আলেম, ইমাম ও ছাত্র-শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হয়রানির মামলা প্রত্যাহারের দাবি তোলা হবে। শাহ আহমদ শফীর নেতৃত্বে শুকরানা মাহফিলে যোগ দেবেন সারাদেশের হেফাজত ইসলামপন্থী কওমি আলেম ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবারের শুকরানা মাহফিল প্রস্তুতি কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন আল-হাইআতুল উলয়ার কো-চেয়ারম্যান আশরাফ আলী। এতে উপস্থিত ছিলেন মুফতি মুহাম্মাদ ওয়াক্কাস, বেফাক মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল কুদ্দুছ, মাওলানা মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম, মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল বছীর, মাওলানা মুহাম্মাদ আরশাদ রহমানী, মাওলানা মুফতি মুহাম্মাদ আলী, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি নূরুল আমীন, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া এবং মাওলানা মুহাম্মাদ সফিউল্লাহ।
এছাড়া ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন মাদ্রাসার প্রায় দেড় হাজার মুহতামিম ও আলেম উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন, মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরির দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। মাহফিলে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও উচ্চ শ্রেণির ছাত্রদের উপস্থিতির দায়িত্ব দেওয়া হয় বেফাকসহ ছয়টি কওমি শিক্ষাবোর্ডের ওপর।