বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মাইশা ফৌজিয়া (২০) নিহত হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত বাসচালককে গ্রেফতারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার মহাসড়ক অবরোধ করেছেন।
এ সময় ঘাতক চালকের বিচারের দাবিতে মিছিল বের করেন তারা। চালককে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত তারা বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় নারায়ণগঞ্জ পরিবহন নামে কুয়াকাটা থেকে আসা একটি বাস তাকে চাপা দেয়।
আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে নিহত মাইশার জানাজার পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
শিক্ষার্থীরা বাসটিকে জব্দ করলেও এর চালক ও সহকারী পালিয়ে যান। পরে শিক্ষার্থীরা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন এবং মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
এ কারণে মহাসড়কে দিবাগত রাত ১টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীরা বাসচালককে গ্রেফতারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আবার বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল আবার বন্ধ হয়ে যায়।
অবরোধে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বাসচালককে গ্রেফতারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কোনো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে তারা আবার সড়কে নেমেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাহাত হোসাইন ফয়সাল বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে খুব দ্রুত বাসচালক ও মালিকপক্ষকে আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করবো, তারা যেন একটু ধৈর্য ধরে।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ ভূঁইঞা বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমাদের ফোর্স ইতোমধ্যে দোষীদের গ্রেফতারের জন্য কাজ করছে। অতিদ্রুতই আমরা তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
নিহত মাইশা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।