মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার নলীগোলবুনিয়া গ্রামের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার রাতে ৫জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো ঝালকাঠীর কাঠালিয়া উপজেলার সোনাউটার মোল্লাখালী গুচ্ছ গ্রামের জয়নাল হাওলাদার (৫৫), জনি হাওলাদার (৩০), জুথি আক্তার (২৬), সেলিনা বেগম (৫০) ও মঠবাড়িয়ার নলী গোলবুনিয়া গ্রামের মৃত নিরঞ্জন রায়ের পুত্র নিতাই রায় (৪০)।
থানা সূত্রে জানাগেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার নলীগোলবুনিয়া গ্রামের ভীম চন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির এক হিন্দু শিক্ষার্থীর সাথে পাশর্^বর্তী কাঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের রনি হাওলাদার (২০) নামে এক যুবক মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে চলতি বছরের মে মাসের ১১ তারিখ ওই শিক্ষার্থীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মঠবাড়িয়া থেকে মটরসাইকেল যোগে অপহরণ করে কাঠালিয়ায় নিয়ে যায় এবং বিয়ে ছাড়াই একাধিকবার ধর্ষণ করে। স্বজনরা এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে ৫মাস পরে শনিবার রাতে রনিদের বাড়ি থেকে ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।
এঘটনায় ওই ছাত্রীর মা কল্পনা রানী মিস্ত্রী বাদী হয়ে রোববার রাতে মঠবাড়িয়া থানায় ৬জনকে আসামী করে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ সোমবার রাতে কাঠালিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় সোনাউটার মোল্লাখালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করেন।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, স্কুল ছাত্রী অপহরণের পর ধর্ষণের মামলায় ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু প্রধান আসামী রনি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।