শেখ সুমন:
আজ সোমবার বিকেলে শেবাচিমহা সুবর্ন জয়ন্তী উদ্ভোধন করলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে আজকের অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ভোধন ঘোষনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিসিসি মেয়র সাদিক আবদু্ল্লাহ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি বেগম সাহানারা আবদুল্লাহ, তালুকদার মো: ইউনুছ এমপি,জেবুন্নেসা আফরোজ এমপি,জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান,ডি আই জি ও বিএমপি পুলিশ কমিশনার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে দক্ষিণাঞ্চল এক সময় অবহেলিত ছিল সেই দক্ষিণাঞ্চলকে আমরা উন্নত করেছি। এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ব্রিজ করা হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হলে বরিশাল হয়ে পায়রাবন্দর পর্যন্ত রেললাইন যাবে। বরিশালের নৌপথ, সড়কপথ, রেলপথ সবপথ থাকবে। বরিশালে কোনো মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে না। বরিশালে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে একেবারে আলাদা। গবেষণা ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েটের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ৬৮ সালে স্থাপন করা হয়। এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন এক হাজার বেডে উন্নীত করে দিয়েছি। শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক এবং আব্দুর রব সেরনিয়াবাদের এই বরিশাল। তারা দুজনই কৃষক দরদি নেতা ছিলেন। তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যখন যত ডাক্তার প্রয়োজন, নিয়োগ দিচ্ছি। ডাক্তারদের জন্য সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি তারপরও ডাক্তাররা উপজেলা হাসপাতালে থাকতে চান না। যে উপজেলায় ১০ জন ডাক্তার থাকার কথা, সেখানে ডাক্তার পাওয়া যায় তিন-চার জন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক উপজেলায় ডাক্তার না থাকলে সেখানকার মানুষ চিকিৎসা সেবা পাবে কীভাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন ৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর স্বাস্থ্যসেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছিল। গ্রামের অসহায় নারী ও শিশুরা এসব ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা পেয়েছে। বিনা পয়সায় চিকিৎসা ও ওষুধ নিয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে এসব কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা আবার বন্ধ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করি। এখনো প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে। ৩০ প্রকার ওষুধ পাচ্ছে বিনা পয়সায়।