দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাপ্রধান বলেছেন, উত্তর কোরিয়া উত্তর-পূর্ব দিকের সমুদ্রে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। উত্তর কোরিয়ার ব্যালেস্টিক মিসাইল হলো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র; যা উচ্চকোণ থেকে ছোড়া যায়।
একদিন আগেই দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক গোয়েন্দারা সেই দেশের সংসদ সদস্যদের জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়া তাদের সপ্তম পরমাণু পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত গিয়ে আঘাত হানতে পারে, এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও তারা এবার পরীক্ষা করতে চলেছে।
জাপানের কোস্টগার্ড জানিয়েছে, মিসাইলটি তাদের ওকুশিরি দ্বীপ থেকে তিনশ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়েছে।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাকাতানি জানিয়েছেন, অন্তত একটি আইসিবিএম পর্যায়ের ব্যালেস্টিক মিসাইল পিয়ংইয়ং থেকে উত্তরপূর্ব দিকে ছোড়া হয়েছে। এটা এক হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পার করেছে। মিসাইলের সবচেয়ে বেশি উচ্চতা ছিল সাত হাজার ফিট।
নাকাতানি বলেন, উত্তর কোরিয়া এখনো পর্যন্ত যত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, তার মধ্যে এই মিসাইলটি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে গেছে। তাই বর্তমানে চালু ক্ষেপণাস্ত্রগুলো থেকে এটি আলাদা।
উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রপরীক্ষা
২০২২ সাল থেকে পিয়ংইয়ং তাদের অস্ত্রপরীক্ষার গতি অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২৩ সালে উত্তর কোরিয়ার সংবিধানে পরমাণু অস্ত্রের বিষয়টি ঢোকানো হয়, পরে তাদের পার্লামেন্ট তা অনুমোদন করে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছিলেন, পরমাণু অস্ত্রের আধুনিকীকরণ খুবই জরুরি। দেশের কৌশলগত প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্যই তা দরকার। গত মাসে কিম দুইটি ভিন্ন ধরনের মিসাইল পরীক্ষার বিষয়টি খতিয়ে দেখেন বলে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে। তার মধ্যে একটিতে বিশাল বড় প্রচলিত অস্ত্র নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। অন্যটি হলো ক্রুজ মিসাইল। ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম।
বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছিলেন, ইউক্রেনের কাছে কুরস্ক অঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার সেনা রাশিয়ার সেনার পোশাকে রাশিয়ার অস্ত্র নিয়ে এগোচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হাইয়ুনকে সঙ্গে নিয়ে অস্টিন বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার এই সেনাকে যুদ্ধে নামাবে রাশিয়া। বলা হচ্ছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে সাহায্য করতে উত্তর কোরিয়া তাদের ১২ হাজার সেনা পাঠিয়েছে।