বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ণকাঠী’ এলাকা তে জমি ক্রয়ের কথা বলে জমির মালিককে ডেকে এনে বেদম মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জমির মালিক সামুন সিকদার গুরুতর আহত হয়।
মঙ্গলবার রাত ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আঃ রব সেরনিয়াবাত সেতুর পাশে এ ঘটনা ঘটে। কর্ণকাঠী গ্রামের হাবিবুর রহমান চৌকিদার তার ছেলে পলাশ, জুলহাস,মৃদুল,আশিক, মাদকব্যাবসায়ী আলামিন সহ আরও কয়েকজন এ হামলা করেন। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র’রা আহত সামুন সিকদার কে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম কর্ণকাঠী এলাকায় কেউ জমি কিনলে বা বাড়ি তৈরির কাজ করতে চাইলে হাবিবুর রহমান চৌকিদার ও তার ছেলেদের টাকা না দিয়ে কোন কাজ’ই করা অসম্ভব হাবিবুর রহমান চৌকিদার স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তার মেজো ছেলে জুলাস হাওলাদার মাদকব্যাবসা এবং যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওয়াসিম দেওয়ান এর সাথে জেলা যুবলীগের রাজনীতি করেন সরকার পরিবর্তনের পর তাদের কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দেখা না গেলে-ও তাদের চাঁদা নেওয়া চলামন’ই আছে। এছাড়াও কর্ণকাঠী গ্রামে মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত জুলহাস হাওলাদার ও পলাশ হাওলাদার বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মাদক সিন্ডিকেট চালায় তারা।
স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, ৫তারিখের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪নং গেটের বিপরীতে দারুচিনি হোটেল এন্ড রেস্তোরাঁয় চাঁদা নিতে আসলে চাঁদা না দেওয়ায় রেস্তোরাঁর মালিক রাজিব ও তার বাবাকে মারধর করেন তাদের ডাক চিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে চাঁদা না দেওয়ায় রাজিব ও তার বাবাকে মৃত্যুর হমকি দিয়ে স্হান ত্যাগ করেন।
স্থানীয় এক বাড়ির মালিক তার পরিচয় গোপন রাখার স্বর্তে বলেন তার কাছ থেকে প্রায়’ই চাঁদা নেন হাবিবুর রহমান চৌকিদারের ছেলেরা ৫তারিখের আগে চাঁদা না দিতে পারলে বিশ্বিবদ্যালয়ের কিছু ছাত্রলীগ নেতা সাথে নিয়ে এসে আমাকে মারতে চাইতেন মালামাল নিয়ে যেতে চাইতেন কাজ বন্ধ করে রাখতেন আমি এখানে না থাকায় রাতের আঁধারে বাড়ি তৈরির জন্য রাখা পাথর সিমেন্ট সহ বিভিন্ন মালামাল বিক্রি করে ফেলেন এজন্য বাধ্য হয়ে আমার তাদেরকে চাঁদা দিতে’ই হয় কারো কাছে ভয়ে মুখ ও খুলতে পারি না, আমি দূর থেকে এসেছি জমি ক্রয় করে বাড়ি করতে এখানে আমার আপন কেউ নেই। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সাধারণ ছাত্র বলেন জুলাস হাওলাদারকে প্রায়সময় দেখতেন ববি ছাত্রলীগ নেতা আল সামাদ শান্ত, তমাল, খালেদ, সজলকে নিয়ে বিভিন্ন ভবনের মালিকের কাছে টাকা আনতেন শুধু তাই নয় এই এলাকায় যেই যায়গা বালু ফেলতো তাদের টাকা দিয়েই ফেলতে হতো। স্হানীয় যেকোনো ঘটনা ঘটলে জুলহাস তাদের খবর দিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক সেইসব বিষয় হস্তক্ষেপ করে মিমাংসা হলেই মিমাংসা করেছি বলে তাদের কাছ থেকে টাকা নিতো, এমন অনেক ঘটনা রয়েছে, স্হানীয় লোকদের কাছে জিজ্ঞেস করলে অনেক তথ্য পাবেন।
সামুন সিকদার জানান আমি হাবিবুর রহমানের বাড়ির পাশে জমি ক্রয় করেছি আমার জমি সে জবরদখল করে রেখে তার কাছে কম মূল্যে বিক্রি করতে প্রতিনিয়ত হুমকি দিতেন, আমি রাজি না হলে তার ছেলেরা বিভিন্ন সময় গালাগালি করতেন মারার হুমকি দিতেন, একপর্যায়ে ভয়ে বাধ্য হয়ে তাকে জমি দিতে রাজি হই আমাকে ২০,০০০ হাজার টাকা স্টাম্প চুক্তিতে বায়না করেন হাবিবুর রহমান আগামীকাল ১৫ অক্টোবর দলিল নেওয়ার কথা এজন্য সন্ধ্যায় দলিল লেখকের কাছে কাগজ পত্র দিবে বলে আমাকে সব কাগজ পত্র তাদের কাছে দিয়ে যেতে বলেন। আমি সন্ধ্যার পরে কাগজ নিয়ে তার কাছে আসতেই সে মা-বোন তুলে গালিগালাজ শুরু করেন, আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই তার ছেলে জুলহাস, পলাশ, মৃদুল,আশিক সহ আরো কয়েকজন রড, স্টিলপাইপ, আরএফএল পাইপ, হাতুড়ি দিয়ে মারা শুরু করেন কয়েকজন লাথি ঘুসি মারতে থাকেন এসময় আমি মাটিতে পরে যাই আমাকে তাদের হাত থেকে রক্ষা করতে আসে-পাসের লোকজন ছুটে আসলে তখন তাদের মধ্যে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে শুনছি তার মধ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সোহাগ মামা ও নাহিদ মামা আহত হয়েছেন।
স লোকজন বলেন ৫তারিখের পরে এমন ঘটনা কোন ভাবে কাম্য নয় হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠ বিচার নিশ্চিত করলে সামুনের মতো এমন হামলার শিকার হতে হবে না আমরা সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই এমন যেন কারো উপর আর না ঘটে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান চৌকিদারের মুঠোফোনে বার বার কল করে-ও সংযোগ পাওয়া যায়নি।