32 C
Dhaka
অক্টোবর ২১, ২০২৪
Bangla Online News Banglarmukh24.com
বিনোদন

দুই ছেলেকে যেভাবে আগলে রাখেন নুসরাত

দেখতে দেখতে সাড়ে তিন বছর বয়স হয়ে গেছে ঈশানের। এখন তার নানা ধরনের প্রশ্ন মনে— খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়ে গেল। স্কুলে যখন যাচ্ছে ঈশান, ও তো বুঝতে পারছে না, ঠিক কী হতে চলেছে। আমার তো উদ্বেগ-চিন্তায় ওষ্ঠাগত প্রাণ। সবাই আমাকে বোঝাতে থাকেন, এটা খুব সাধারণ একটা বিষয়। বাচ্চারা স্কুল যাওয়ার সময় কাঁদবেই। টালিউড অভিনেত্রী বলেন, আমার কিছুতেই মন মানছে না। স্কুলের বাইরে সাত দিন টানা বসে থাকতাম। শুনতে পাচ্ছি তো ভেতরে কাঁদছে। যখন দেখলাম আর কাঁদছে না, তখন থেকে আর বসতাম না।’

তবে গর্বের সঙ্গে নুসরাত বলেন, তিনি শুধুই ঈশানের মা নন। তার জীবনে আরও এক সন্তান রয়েছে। যশের প্রথম ছেলে রিয়াংশ। ‘আমরা মানুষ হিসেবে অনেক কিছু জটিল করে থাকি। একটু মানবিকতা দিয়ে ভাবলে এমনটি কখনই হয় না। আমাদের পরিবারে আলাদা করে দুই ছেলেকে কখনই ভাবা হয় না। যশের দুই ছেলে ওর জীবন। কোনো তফাৎ নেই। আমাদের বাড়িতে কিন্তু দুটো পোষ্যও রয়েছে। ওরাও আমাদের সন্তান।

যশকে পাশে পাওয়ার কথা উল্লেখ করে নুসরাত বলেন, আমি কোনোদিন বলতে পারব না যে মায়ের কাজ সবচেয়ে ওপরে। আদর-যত্ন, লালন-পালন সবটা মা করেন সেটি যেমন ঠিক, তেমনই জীবনের অনেক পাঠ শিখিয়ে দেন বাবা। ঈশান পড়ে গেলে আমি দৌড়ে গিয়ে তুললেও, যশ ওকে শেখায় কীভাবে নিজে থেকে উঠে দাঁড়াতে হয়। একজন মা এবং বাবার আলাদা ভূমিকা থাকে জীবনে, যেটি শিক্ষণীয়।

এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ওদের আদরের জায়গা, আর যশ ওদের নিরাপত্তা। সবাই কিন্তু বাবাকেই ভয় পায়। আর আমি বন্ধু। মজার বিষয় হলো— রিয়াংশ সবসময় ঈশানকে অত্যন্ত আগলে রাখে। ওদের রক্তের টান। যেটা ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। আমি বা যশ যখন সবকিছু থেকে একটু ব্রেক নিতে বাইরে যাই, দুজন বাচ্চা একে অপরকে আগলে রাখে।

কোভিডের সংক্রমণ কমলেও, তখনো কেটে যায়নি আতঙ্ক। হাসপাতাল থেকে ঈশানকে বাড়ি নিয়ে এলেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। দিনে পাঁচবার শুধু বাড়ি পরিষ্কার চলত সেই সময়। এমনকি বাচ্চার ঘরের দিকে খুব একটা লোকজন যেতেন না। তাই মানুষের ছোঁয়া থেকে খানিক দূরে ছিল নুসরাতপুত্র।

অভিনেত্রীর বলেন, এই তো সেদিন তোকে কোলে করে নিয়ে এলাম। এর মধ্যেই কেমন বড় হয়ে গেলি বল তো…।’ রাতারাতি একটা ছোট্ট বাচ্চা কীভাবে তাকে পরিপূর্ণ করেছে সে বিষয়েই কথা বলেছেন অভিনেত্রী।

ছেলের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ নুসরাত। তিনি বলেন, ‘সিজার হওয়ায় হাসপাতালে ওকে একমাত্র ফিডিংয়ের সময় কাছে পেতাম। প্রথম যখন কোলে পাই, তখন তো মা হয়ে উঠিনি। একজন শিশুকে কীভাবে দুধ খাওয়াতে হয়, কিছুই জানতাম না। যশ আমাকে এতটাই সাহায্য করেছে বলে বোঝাতে পারব না। আর সঙ্গে ছিলেন আমার মা। ছোট বাচ্চা কখন ঘুমাবে, কখন উঠবে সেটা বোঝা খুব মুশকিল হয়ে উঠত। প্রতিটি মায়ের অভিজ্ঞতা আসলে আলাদা হয়। আমারও তেমন সবার থেকে অন্যরকম।’

বাচ্চাকে পাশে নিয়ে ঘুমানোর সময় প্রতিদিন নানা রকমের নতুন অভিজ্ঞতা হতো তার। দুধ খাওয়ানোর জন্য নাকি অ্যালার্মও দেওয়া থাকত অভিনেত্রীর। নুসরাত বলেন, ‘কখনও ঘুমের মধ্যে মনেও নেই হয়তো অ্যালার্ম বন্ধ করে দিয়েছি। আবার ধড়পড় করে উঠে বসতাম। আমি আর যশ সময় বার করে নিয়েছিলাম। সারারাত ব্রেস্ট ফিডিং করার পর আমি যখন ভোরের দিকে একটু ঘুমাতাম, তখন যশ ওকে নিয়ে বসে থাকত।’

সম্পর্কিত পোস্ট

যেভাবে সাজগোজ করে থাকেন কারিনা

banglarmukh official

কারিনাকে প্রথম দেখার অভিজ্ঞতা জানালেন সাইফ

banglarmukh official

শুটিং সেটে শাকিবকে হিন্দি শেখাতেন সোনাল

banglarmukh official

তৃতীয় বিয়ের প্রশ্নে যা বললেন আরবাজ খান

banglarmukh official

আবারও মা হচ্ছেন কোয়েল

banglarmukh official

আমরা কী করেছি যে এ কথা শুনতে হবে: জ্যোতি

banglarmukh official