বরিশালে নানা আয়োজনে মহাঅষ্টমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টা ৪৯ মিনিটে কল্পারম্ভ ও মহাঅষ্টমী বিহীত পূজার মধ্য দিয়ে মহাঅষ্টমী পূজা শুরু হয়। রাত ৮টা ৬ মিনিটে সন্ধি পূজা এবং ৮টা ৮৪ মিনিটে সন্ধি পূজার সমাপনীর মাধ্য দিয়ে মহাঅষ্টমী শেষ হবে। এ সময় মণ্ডপগুলোতে চণ্ডিপাঠ, পূজা-অর্চনা এবং অঞ্জলী প্রদান করা হয়।
এদিকে বরিশাল নগরীর সদর রোডের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দিরে প্রথমবারের মতো কুমারীপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার দুপুর ১ টায় নগরীর সদর রোডের শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দিরে কুমারীপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতীমা কল্পনা করে জগজ্জননীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করার মাধ্যমে কুমারীপূজা অনুষ্ঠিত হয়।
জগন্নাথ দেবের মন্দিরে এবারের ‘কুমারী মায়ের’ নাম তৃৃমা গাঙ্গুলী (১১)। কুমারীপূজায় তার নাম দেয়া হয়েছে “রুদ্রানী”। সে বরিশাল নগরীর বাজার রোড বড় কালীবাড়ি এলাকার সবির গাঙ্গুগুলীর মেয়ে এবং নগরীর জগদীশ সারস্বত গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী।
সনাতন ধর্মের মানুষ কুমারীকে দেবী দুর্গা হিসেবে আরাধনা করেন অষ্টমীতে। বলা হয়, মানববন্দনা, নারীর সম্মান ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং ঈশ্বরের আরাধনাই কুমারীপূজার শিক্ষা।
বরিশাল বিভাগে প্রথমবারের মতো জগন্নাথ দেবের মন্দিরে কুমারী আয়োজন করায় খুশী ভক্তরা। কুমারী মায়ের আরাধনার মধ্য দিয়ে প্রত্যাশা পূরণ হবে আশা তাদের।
শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের মন্দিরে পুরোহিত পলাশ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কুমারীরা শুদ্ধতার প্রতীক হওয়ায় মাতৃরূপে ঈশ্বরের আরাধনার জন্য কুমারী কন্যাকে নির্বাচিত করা হয়। পরিপূর্ণ ফলপ্রাপ্তি কামনায় কুমারীপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভক্তরা তাদের কামনা-বাসনা পরিপূর্ণ করতে কুমারীপূজায় অংশগ্রহণ করেন।
মহাঅষ্টমী নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ করতে সবগুলো মন্দিরে মোতায়েন রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
এবার বরিশাল জেলায় ৬০০ টি এবং মহানগরে ৪৮ টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুর্গাপূজা।