নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরেই আ’লীগের মনোনয়ন নিয়ে বসার কথা রয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট ও আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের প্রার্থীর অবস্থার বিশ্লেষন করেই মনোনয়ন দেওয়ার বিষয় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন আ.লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সূত্র মতে, প্রার্থীর ক্ষেত্রে ছাত্র রাজনীতি, জনগনের মাঝে গ্রহনযোগ্যতা, আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয়তা প্রাধান্য পাবে। সেক্ষেত্রে বরিশাল-৫ আসনের প্রার্থী বাছাই একটি জটিল সমিকরনে আবদ্ধ।
আওয়ামীলীগের দক্ষিনবাংলার অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র পছন্দ ও সমর্থন বরিশাল-৫ আসনের মনোনয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বরিশাল-৫ আসনে ৬/৭ জন প্রার্থী মনোনয়নের জন্য গনসংযোগ, প্রচার ও লবিং চালাচ্ছেন। তাদের মধ্যে ২জন নবীন প্রার্থী প্রচারনায় চমক দেখালেও জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তাদের মনোনয়নের ব্যাপারে কোন প্রকার সমর্থন নেই বলে জানিয়েছেন।
আওয়ামীলীগের প্রার্থীর তালিকায় তিন জন সুনজরে থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর উপজেলা চেয়ারম্যান/পৌর মেয়রদের মনোনয়ন দেয়া হবে না-এমন ঘোষণায় অনেকটাই পিছু হটেছেন বরিশাল সদর উপজেলার চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু। তবে মনোনয়নের বিষয় এখনো আশাবাদী তিনি।
দল থেকে এবার সুপারিশ যেতে পারে, মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবীক্রম ও বর্তমান সাংসদ জেবুন্নেছা আফরোজের জন্য। আর এই দুইজনের মধ্যে যে কোন একজন মনোনয়ন পাবেন।
এর পিছনে কাজ করছে এই দুজনের সাংগঠনিক ত্যাগ। সর্বশেষ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর পক্ষে দিন রাত কাজ করে হাসনাত পরিবারের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন এসপি মাহবুব। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ সাহসী ভূমিকার জন্য বরিশালের কৃতি সন্তান মাহবুব উদ্দিন বীর বিক্রমের প্রতি বর্তমান সরকারের সু-দৃষ্টি রয়েছে। পাশাপাশি দলের হয়ে একনিষ্ঠ কাজ করায় প্রধানমন্ত্রীর সুনজরে রয়েছেন জেবুন্নেছা আফরোজ।
যে কারনে বরিশাল আ.লীগের ঘরে বাইরে এখন মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবীক্রম ও জেবুন্নেছা আফরোজকে নিয়ে আলোচনা চলছে।