শামীম ইসলাম:
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় দশম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে মনির হোসেন নামে এক যুবককে দুটি ধারায় কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে আসামির অনুপস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মনির বাবুগঞ্জ উপজেলার মহিষাদি গ্রামের মৃত নাজেম আলী ফকিরের ছেলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মো. আজিবর রহমান রায়ের বরাত দিয়ে জানান, মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতো মনির। ২০০৯ সালের ৪ জুন মনির তার সহযোগীদের নিয়ে তাকে অপহরণ করে বরিশাল নগরীর একটি বাসায় রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরদিন মেয়েটিকে নিয়ে মনির ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশে নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যায়। এ সময় মেয়েটির বাবাকে দেখে মনির পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ১০ জুন ওই মাদরাসাছাত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই আব্দুল মজিদ হাওলাদার একমাত্র মনিরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ এই রায় দেন।
তবে উভয় দণ্ড দণ্ডিত হওয়ায় একই সঙ্গে কার্যকরের ক্ষেত্রে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছর কারা ভোগ করতে হবে।